জাজপুর, 16 ডিসেম্বর: সিআইডি'র স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), ক্রাইম ব্রাঞ্চ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিক, নিউরো স্পেশালিস্ট ডাক্তার, সেনা বাহিনীর ডাক্তার এবং উচ্চপদস্থ এনআইএ আধিকারিক এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত একজন কাশ্মীরি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের অনুমান অভিযুক্তের দেশবিরোধী কার্য়কলাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এসটিএফ'র বিবৃতি অনুসারে, অভিযুক্ত আদতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ছদ্মবেশ ধারণ করেছে।
এসটিএফ আইজি জয় নারায়ণ পঙ্কজ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সইদ ইশান বুখারি ওরফে ইশান বুখারি ওরফে চিকিৎসক ইশান বুখারি (37)-কে জাজপুর জেলার নেউলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসটিএফের একটি বিশেষ দল গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে, সিনিয়র এসটিএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে কাশ্মীর পুলিশ সেখানে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলাতেও খুঁজছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে।
এসটিএফের বিবৃতি অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কেরালার কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তি এবং কিছু পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিলেন ৷ এসটিএফ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, অভিযানের সময় 100টিরও বেশি নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত একজন নিউরো স্পেশালিস্ট ডাক্তার, একজন আর্মি ডাক্তার, পিএমও-র একজন অফিসার, কিছু উচ্চপদস্থ এনআইএ আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ছদ্মবেশ ধারণ করেছে বিভিন্ন সময়ে ৷
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সঈদ ইশান বুখারি কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশা-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ছয় থেকে সাত জন মেয়েকে বিয়ে করেছে। তিনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপগুলিতে সক্রিয় ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক ডিগ্রিধারী একজন ডাক্তারের ছদ্মবেশে অনেক মেয়ের সঙ্গেই সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন ৷ অভিযুক্তের কাছ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি, কানাডিয়ান হেলথ সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট, খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ ভেলোরের জারি করা মেডিকেল ডিগ্রি, সার্টিফিকেটের মতো বেশ কিছু জাল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিছু ফাঁকা স্বাক্ষরিত নথি, হলফনামা, বন্ড, অসংখ্য পরিচয়পত্র, এটিএম কার্ড, ফাঁকা চেক, আধার কার্ড, ভিজিটিং কার্ডও মিলেছে তার কাছ থেকে ৷
এসটিএফ আইজির মতে, অভিযুক্ত বেশকিছু পাকিস্তান নিবাসীর সঙ্গে কথোপকথন হয়েছিল অভিযুক্তের ৷ কেরল, পঞ্জাব এবং কাশ্মীরের মতো রাজ্যে সন্দেহজনক কার্যকলাপেও সে জড়িত ছিল। সেই ব্যক্তি কিছু সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ৷ এসটিএফ আইজি জানান, তারা এই মামলায় সম্ভাব্য সন্ত্রাসী সংযোগের তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন: