নয়াদিল্লি, 16 জানুয়ারি: সিবিআই, ইডি ও এনআইএ'র আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের দলকে ইংল্যান্ডে পাঠাচ্ছে ভারত সরকার ৷ মূলত, পলাতক ঋণখেলাপিদের দ্রুত দেশে প্রত্যপর্ণ করানোর উদ্দেশে উচ্চপর্যায়ের এই দলকে পাঠানো হচ্ছে ৷ যাদের কাজ হবে, ইংল্যান্ডে গিয়ে গা-ঢাকা দেওয়া এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ডিলারের কাজ করা সঞ্জয় ভান্ডারি, হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি কিংবা কিংফিশার সংস্থার কর্ণধার বিজয় মালিয়ার মতো ঋণখেলাপিদের দ্রুত দেশে ফেরানো ৷
সূত্রের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নিয়ে তৈরি উচ্চপর্যায়ের এই দল আরও একটি উদ্দেশে লন্ডন যাচ্ছে ৷ সেখানে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে এর সদস্যদের ৷ মূলত, 'পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি' অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে যে তথ্য বিনিময় হওয়ার কথা, তা দীর্ঘ সময় আটকে রয়েছে ৷ বাকি থাকা পারস্পরিক তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়টিকে আবারও আলোচনার মাধ্যমে শুরু করার জন্য এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের এই যৌথ দল ৷
'পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি' বা 'এমএলএটি' চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও ব্রিটেন অর্থনৈতিক কারচুপি এবং অন্যান্য অপরাধ সংক্রান্ত আইন বিষয়গুলি একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বাধ্য ৷ সেই সঙ্গে অপরাধগুলির ক্ষেত্রে কোন ধরনের তদন্ত করা হচ্ছে ? তদন্তের গতি প্রকৃতি কেমন ? তার বিস্তারিত তথ্য দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে হবে ৷ এই মুহূর্তে এনআইএ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে একাধিক সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ৷ যাদের বিরুদ্ধে খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সামিল হওয়ার অভিযোগ রয়েছে ৷
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অফিসিয়ালি 'এমএলএটি' চুক্তি করলেও, এ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিত আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রকের মাধ্যমেই যেতে হবে আধিকারিকদের ৷ ভারতের বিদেশনীতির এটা একটা বড় অঙ্গ ৷ সেই কারণে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা তিনটি বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের একজন সিনিয়র আধিকারিকও থাকবেন ৷
আরও পড়ুন: