তিরুপতি, 13 জুলাই: উৎক্ষেপণের আগে তিরুপতি মন্দিরে প্রার্থনা করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা ৷ বৃহস্পতিবার সকালের প্রার্থনায় তাঁদের সঙ্গে ছিল চন্দ্রযান 3-র একটি মডেল ৷ আগামিকাল দুপুর 2.35 মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-3 ৷ এর আগে 2019 সালে চন্দ্রযান-2 চাঁদে পাঠানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ৷ সে বার চাঁদের মাটিতে নামতে পারেনি চন্দ্রযান-2 ৷
আজ সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসেন ইসরোর চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী এস সোমনাথ, সচিব শান্তনু ভাতওয়াদেকর-সহ অন্যরা ৷ পরে সোমনাথ সাংবাদিকদের বলেন, "চন্দ্রযান-3 কাল যাত্রা শুরু করবে ৷ আমরা আশা করছি, সব কিছু ঠিকঠাক হবে ৷ 23 অগস্ট এই যানটি চাঁদের মাটিতে পৌঁছবে ৷" এই মিশন সফল হোক সেই কামনা করেই প্রার্থনা বলে জানান বিজ্ঞানীরা ৷
এই মিশনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ৷ ইতিমধ্যে ইসরো সফলভাবে চন্দ্রযান-3 স্পেসক্রাফ্ট এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-3 শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে স্থাপন করার কাজটি সম্পূর্ণ করেছে ৷ এখান থেকেই আগামিকাল চন্দ্রযান 3-কে নিয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-3 বা এলভিএম-3 ৷ এর আগে চন্দ্রযান-2 চাঁদে নামতে পারেনি ৷ তাই এবার সেই সব গাফিলতিগুলি শুধরে চন্দ্রযান-3 তৈরি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: আরও জ্বালানি ও ব্যর্থতা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে চাঁদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত চন্দ্রযান-3
তৃতীয় চন্দ্রযান মিশনের অন্যতম বিজ্ঞানী চয়ন দত্ত ৷ তিনি উত্তর-পূর্বের অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তিতে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন ৷ তিনি বর্তমানে মহাজাগতিক দফতরের অধীনে ইউআর-রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে কর্মরত ৷ মিশন চন্দ্রযান-3-এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ৷ ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে এই মূহূর্তে চ্যালেঞ্জ, চাঁদের মাটিতে কোনও রকম ঝাঁকুনি ছাড়া নিরাপদে চন্দ্রযানের অবতরণ করানো ৷ একেই পরিভাষায় 'সফট ল্যান্ডিং' বলা হয় ৷ ইতিমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং চিন চাঁদের মাটিতে তাদের চন্দ্রযানের সফল সফট ল্যান্ডিং করেছে ৷ তাই ভারতের চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ঠিকঠাক ছুঁয়ে ফেললে, তা অবশ্যই বিশ্বের মহাজগতিক ক্ষেত্রে একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে ৷