নয়াদিল্লি, 26 নভেম্বর: চিনে বেড়ে চলা ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি ও রহস্যময় নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের রফতানিকারীরাও ৷ যেহেতু চিন বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যমত বড় কেন্দ্র, তাই সেখানে বড় ধরনের কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন ভারতের ব্যবসায়ীরাও ৷ যদিও চিনের এই ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক নয়, তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে অনেকের আশঙ্কা, এই অসুস্থতার প্রকোপ যদি আরও বাড়েও তা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ছড়ায়, তবে তা বিশ্ব উৎপাদন ও রফতানি ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, চিনের ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার ৷ H9N2 নামে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাবে মূলত শিশুরাও অসুস্থ হচ্ছে ৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাদের ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বাড়ছে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার ৷ এই অসুস্থতা নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ৷
এই প্রসঙ্গে এদেশের চামড়া রফতানিকারী সংস্থা ফরিদা গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, চিনের পরিস্থিতির দিকে তারা নজর রাখছেন ৷ সমস্যা বাড়লে তার প্রভাব ব্যবসায় পড়বে ৷ অনেকটা একই ধরনের মত প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস (FIEO) এর ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহায় ৷ তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই চিন্তিত ৷ এটি কতদূর ছড়ায় তার উপর সবকিছু নির্ভর করছে ৷ আগামী 5-6 দিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই সংক্রমণ আরও ছড়ালে, তা সমস্যা তৈরি করবে ৷"
করোনাকালে চিনে কোভিডের সংক্রমণ প্রথম ধরা পরে ৷ তারপর টানা কয়েক বছর কী পরিস্থিতি হয়েছিল ও তার কী প্রভাব ব্যবসায় পড়েছিল, তা ভেবেই অনেকে উদ্বিগ্ন ৷ চিন ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী ৷ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে চিন থেকে ভারতের পণ্য আমদানির পরিমাণ প্রায় 60 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৷ গত বছর এই একই সময়ে তা ছিল 60.26 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৷ ভারত থেকে চিনে এই সময়ে রফতানির পরিমাণ 8.92 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৷ গত বছর যা ছিল 8.85 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৷
আরও পড়ুন: