আগরতলা, 30 মার্চ: সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে আগামী ছ'মাসের মধ্য়ে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথে (Agartala Akhaura Rail Route) ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহণ (India Bangladesh Trade by Railways) শুরু হয়ে যাবে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী (Sushanta Chowdhury) ৷
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুশান্ত জানান, ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ বিস্তারের কাজ মূলত দু'টি পর্যায়ে হচ্ছে ৷ তিনি জানান, "সংশ্লিষ্ট দু'টি পর্যায়ের মধ্য়ে প্রথমটি হল ত্রিপুরার বাধারঘাট থেকে নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ৷ আর দ্বিতীয় পর্যায়টি হল, ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত ৷ এই প্রকল্প রূপায়ণে একসঙ্গে দু'টি সংস্থা কাজ করছে ৷ এই দু'টি সংস্থা হল, ইরকন এবং টেক্সম্য়াকো ৷ ফলে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে ৷ ইতিমধ্যেই প্রায় 88 শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ এই রেলপথ দুই দেশের মানুষেরই দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ৷ সেই দাবি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে ৷ তাছাড়া, এই রেলপথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শুরু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে ৷ নিশ্চিন্তপুরে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হলেই এই রুটে বাণিজ্য শুরু হয়ে যাবে ৷ পাশাপাশি, ট্রেনে ভারত ও বাংলাদেশ, এই দুই দেশের নাগরিকরাই যাতায়াত করতে পারবেন ৷ এতে তাঁদের বিশেষ সুবিধা হবে ৷ এর ফলে তাঁরা ব্যক্তিগতভাবেও নিজেদের বাণিজ্য়ের সম্প্রসারণ ঘটাতে পারবেন এবং দুই দেশেই নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৷"
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্য়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা প্রকল্প এলাকা দফায় দফায় ঘুরে দেখেছেন ৷ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রীও ৷ যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে তাঁরা সকলেই মনে করছেন, আগামী ছ'মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে ৷ এই রেলপথের চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, "ত্রিপুরার সীমানার (ভারতের সীমান্ত) মধ্যে অর্থাৎ বাধারঘাট থেকে নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন বিছানো হবে ৷ তারপর থেকে এটি হয়ে যাবে মিটার গেজ ৷"
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ডিজেল পাইপলাইনের উদ্বোধন মোদি-হাসিনার
এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, ব্রডগেজে যে ট্রেনগুলি চলবে, সেগুলি চলবে শুধুমাত্র বাধারঘাট থেকে থেকে নিশ্চিন্তপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ৷ সেখানে ট্রেনের যাবতীয় পণ্য ও যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হবে ৷ এরপর নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে অভিবাসন এবং আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সমস্ত কাগুজে কাজকারবার সেরে ফেলতে হবে ৷ তারপর সীমান্ত পার করে অন্য ট্রেনে তোলা হবে পণ্য এবং যাত্রীদের ৷ সেখান থেকে সেই ট্রেন যাবে আখাউড়া পর্যন্ত ৷ আখাউড়া থেকে ত্রিপুরা আসার পথেও উলটো রুটে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে ৷