নয়াদিল্লি, 15 সেপ্টেম্বর: সময়ের আগেই দোষীরা ছাড়া পেলেন কী করে ? বিলকিস বানো গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষীরা সময়ের আগেই ছাড়া পেয়েছে ৷ এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানান, দোষীরা প্রায় এক হাজারের বেশি সময় পেরোলে জেলের বাইরে ছিলেন ৷ তারা এই সুবিধে পেল কী করে ?
এদিন এক দোষীর পক্ষের প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা শীর্ষ আদালতে সওয়াল-জবাবে জানান, এই অপরাধ নৃশংস ছিল ৷ তবে এর জন্য দোষীদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত করা যায় না ৷ সুপ্রিম কোর্টও এই যুক্তির সঙ্গে সহমত পোষণ করে ৷ দোষীরা সময়ের আগে ছাড়া পেতেই পারে ৷ তার জন্য তাদের অপরাধ এবং মামলার প্রমাণ বাধা হতে পারে না ৷
আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর 11 ধর্ষকের মুক্তি, গুজরাত ও কেন্দ্র সরকারের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
তবে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ এদিন জানায়, বিলকিস বানো গণধর্ষণের মামলায় দোষীরা তাদের সাজার সময় শেষ হওয়ার আগে মুক্তি পেয়েছে ৷ এতে তাদের কোনও বিশেষ সুবিধে দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে ৷
আদালত এদিন আইনজীবীদের প্রশ্ন করে, এই দোষীরা কীভাবে নির্ধারিত সময়ের আগে ছাড়া পেল ৷ এমনকী তারা দীর্ঘ এক হাজার থেকে এক হাজার পাঁচশো দিন পর্যন্ত পেরলো জেলের বাইরে ছিল ৷ এক্ষেত্রে অন্য দোষীদের থেকে তাদের বেশি সুবিধে দেওয়া হয়েছে ৷ বিচারপতিদের প্রশ্ন, "এর কারণ কী ? কয়েকজন দোষীদের সঙ্গে অন্য রকম ব্যবহার করা হচ্ছে নাকি ?"
শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও প্রশ্ন করে, দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি কি বৈধ ? এদিকে প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা পালটা প্রশ্ন করেন, আদালত এই ঘটনার পর্যালোচনা করতে বসেনি ৷ এদিকে শীর্ষ আদালত অপরাধের প্রকৃতি এবং তার সমর্থনে প্রমাণগুলি নিয়ে সওয়াল-জবাব করে ৷
আরও পড়ুন: দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিসের আবেদনে শুনানিতে বেঞ্চ গঠনে সম্মত সুপ্রিম কোর্ট
দোষীর আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরার প্রশ্ন, এই দোষীদের শাস্তি শেষ হবে কবে ? এদের কি মুক্তির অধিকার নেই ? এগজিকিউটিভ বডি কি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না ? পরবর্তী শুনানি 20 সেপ্টেম্বর ৷ 2002 সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয় ৷ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে খুনও করা হয় ৷ এদের মধ্যে বিলকিস বানোর এক সন্তানও ছিল ৷ 2022 সালের 15 অগস্টের আগে এই ঘটনায় দোষীদের মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার ৷