গান্ধিনগর, 12 সেপ্টেম্বর: বিজয় রূপানির উত্তরসূরি হিসেবে ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে বেছে নিল বিজেপি ৷ রবিবার বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁকে সর্বসম্মতভাবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৷ শনিবারই আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজয় রূপানি ৷ সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন না ভূপেন্দ্র প্য়াটেল ৷ তাই তাঁর মনোনয়নে কিছুটা বিস্ময় তৈরি হয়েছে ৷
2022 বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাটলোদিয়ার বিধায়ক ভূপেন্দ্র প্যাটেলের হাতে গুজরাতের দায়িত্ব তুলে দিলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ ৷ পতিদার সম্প্রদায়ভুক্ত ভূপেন্দ্র বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা হলেও রূপানির উত্তরসূরির দৌড়ে ছিলেন না তিনি ৷ কিন্তু রবিবার গুজরাতে বিজেপির রাজ্য দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ভূপেন্দ্রকেই বিধানসভার নেতা হিসাবে বেছে নেয় দল ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য রাজপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি ৷
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে ভূপেন্দ্রর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ৷ কারণ গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থকে পদত্যাগ করার পর রূপানি জানিয়েছিলেন, "সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কার্যকর্তাদের দায়িত্বও বদল হয়। দলের জন্য আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম। এবার বিজেপির ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের অধীনে থেকে কাজ শুরু করব।"
আরও পড়ুন : গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা বিজয় রূপানির
রূপানির পদত্যাগের 24 ঘণ্টার মধ্যেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিলে বিজেপি পরিষদীয় দল ৷ এদিন বিজজেপির রজ্যাের সদর দফতর কামালামে নতুন নেতা বেছে নিতে বিকেল তিনটের সময় বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসেছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর এবং প্রহ্লাদ যোশী ৷ বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দু'জনে ৷ বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান সিআর পাতিল ও অনান্য বড় নেতারা ৷
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন গুজরাতের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আরসি ফালদু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা ও মনসুখ মান্ডব্য ৷ এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন প্যাটেল সম্প্রদায়ভূক্ত ৷ কিন্তু এঁদেরকে পিছনে ফেলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নামেই সিলমোহর দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল ৷ গুজরাতে পতিদায় সম্প্রদায় হল সংখ্যাগুরু ৷ ফলে রাজ্য রাজনীতির নির্ণায়ক শক্তিও বটে ৷ এ কথা মাথায় রেখেই ভূপেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ গত নির্বাচনে ঘাটলোদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের শশীকান্ত প্যাটেলের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন ভূপেন্দ্র। তিনি আহমেদাবাদ পৌর কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটিরও সভাপতিত্ব করেন।
২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন বিজয় রূপানি। ২০১৬ সালে আনন্দীবেন প্যাটেলের ইস্তফার পর প্রথমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন রূপানি। এরপর তাঁর নেতৃত্বে ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এরপর তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। কিন্তু, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ইস্তফা দেন তিনি।