নয়াদিল্লি, 17 অক্টোবর: মিশনের প্রথম পরীক্ষামূলক যানটি আগামী 21 অক্টোবর পাড়ি দেবে মহাকাশে ৷ তার আগে দেশের 'গগনযান মিশনে'র অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর সেই বৈঠকেই দেশের মহাকাশ গবেষণার নয়া রূপরেখা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
শনিবার সকাল 8টায় মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে গগনযান মিশনের প্রথম পরীক্ষামূলক যান 'টিভি ডি1' ৷ দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ ইসরো যে গগনযান মিশনের জন্য প্রস্তুত, তা এদিনের মূল্যায়ন বৈঠকে পরিষ্কার ৷ একইসঙ্গে ঠিক দু'বছর বাদে অর্থাৎ, 2025 সালে যে যাবতীয় পরীক্ষামূলক ধাপ পেরিয়ে ইসরো তার প্রথম গগনযানটি উৎক্ষেপণ করবে, তাও নিশ্চিত করা হয়েছে ৷
সাম্প্রতিক অতীতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি চন্দ্রযান 3-এর সফল সফট ল্যান্ডিং দেশের মহাকাশ গবেষণায় জোয়ার এনেছে ৷ পরপরই আদিত্য এল 1-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে ইসরোর তরফে ৷ এই সাফল্যের উপর দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী এদিন ভবিষ্যতের নীল নকশা ছকে দিয়েছেন ৷ ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?
আরও পড়ুন: গগনযানের উড়ানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ, দিনক্ষণ জানালো ইসরো
নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ভারতের এবার উচিৎ আরও নতুন এবং বড়সড় লক্ষ্য স্থির করা ৷ এদিন বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, "চন্দ্রযান 3 কিংবা আদিত্য এল 1-এর মতো সাম্প্রতিক মিশনগুলির সাফল্যের পর ভারতের মহাকাশ গবেষণার নয়া দিশা নির্দেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেছেন ভারতের এবার নয়া লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া উচিৎ ৷ যার মধ্যে 2035 সালের মধ্যে ভারতের অন্তরীক্ষ স্টেশন (ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন) তৈরি এবং 2040 সালের মধ্যে দেশের প্রথম নভশ্চরকে চাঁদে পাঠানোর বিষয়টি রয়েছে ৷"
প্রধানমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য ধরে ইসরো নতুন রোডম্যাপ তৈরি করবে বলেও জানানো হয়েছে ৷ নয়া এনজিএলভি রকেট, একাধিক পরীক্ষামূলক চন্দ্রযান মিশন, নয়া লঞ্চপ্যাড তৈরি ৷ এই সবকিছুই রয়েছে রোডম্যাপে ৷