গুরুগ্রাম, 13 জানুয়ারি: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে দিল্লির ছাতারপুরের বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন ৷ তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় ৷ রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । প্রবীণ নেতা শরদ যাদবের মেয়ে সুভাষিনী শরদ যাদব (Subhashini Sharad Yadav) টুইট করে তাঁর বাবার প্রয়াত হওয়ার ঘটনাটি জানিয়ে লেখেন, "বাবা আর নেই" ৷
-
पापा नहीं रहे 😭
— Subhashini Sharad Yadav (@Subhashini_12b) January 12, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">पापा नहीं रहे 😭
— Subhashini Sharad Yadav (@Subhashini_12b) January 12, 2023पापा नहीं रहे 😭
— Subhashini Sharad Yadav (@Subhashini_12b) January 12, 2023
দীর্ঘদিন তিনি জেডি(ইউ)-র সঙ্গে জড়িত ছিলেন ৷ পরে নিজের দল গড়েন শরদ যাদব ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 75 বছর ৷ তাঁর পরিবারে স্ত্রী, এক পুত্র ও কন্যা রয়েছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন (Sharad Yadav was brought to emergency in unconscious state) ৷ এছাড়া আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য নেতারা শোক জ্ঞাপন করেছেন ৷
বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, "তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ৷ তাঁর নাড়িতে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ রক্তচাপও স্বাভাবিক ছিল না ৷ এসিএলএস প্রোটোকল মেনে তাঁকে (শরদ যাদব) সিপিআর দেওয়া হয় ৷ সব চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি ৷ রাত 10.19 মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয় ৷" প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi Tweets on Sharad Yadav) তাঁর মৃত্যুতে টুইট করেন, "শ্রীশরদ যাদবের চলে যাওয়ার আমি ব্যথিত" ৷
আরও পড়ুন: বৃদ্ধার ভাঙা পা জোড়া লাগাতে গিয়ে কেটেই বাদ দিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা!
শরদ যাদবের জামাই রাজকুমার রাও একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, "তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৷ তাঁকে আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ তিনি কিডনি সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন এবং ডায়ালিসিস চলছিল ৷ তাঁর শবদেহ নয়াদিল্লি থেকে তাঁর জন্মস্থান মধ্যপ্রদেশের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ৷" সত্তরের দশকে কংগ্রেস বিরোধী এবং সামাজিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে উঠে আসেন শরদ যাদব ৷ সে সময় লোক দল (Lok Dal) এবং জনতা পার্টির (Janata Party) একাধিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন তিনি ৷ পরে বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে জনতা দল (ইউনাইটেড) গড়েন তিনি ৷ তবে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়লে সেখান থেকে তিনি সরে এসে নিজের দল লোকতান্ত্রিক জনতা দল গঠন করেন ৷ 2020 সালের মার্চ মাসে সেই দল লালুপ্রসাদের আরজেডির সঙ্গে যুক্ত হয় ৷