মুম্বই, 22 অক্টোবর: সাইবার সন্ত্রাসে (Cyber Terrorism) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই প্রথম মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) কারও শাস্তি ঘোষণা করল আদালত ৷ দোষী ব্যক্তির নাম আনিস আনসারি (Anees Ansari) ওরফে আনিস শাকিল আনসারি (Anees Shakeel Ansari) ৷ পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র আনিসকে শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) সাজা দেওয়া হয় ৷ 2014 সালে বিকেসি-এর আমেরিকান স্কুলের পড়ুয়াদের খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল আনিস ৷
আনিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ওই স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল সে ৷ সেই কারণেই 2014 সালের 18 অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পরবর্তীতে শুনানি চলাকালীন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় আনিস ৷ তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 66 (এফ) ধারায় দায়ের হওয়া অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় ৷ সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালতের বিচারক এ এ যোগলেকর এই প্রসঙ্গে জানান, ওমর এলহাজ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল আনিস ৷ ওই ব্যক্তিকে একাধিক আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছিল সে ৷ সেইসব মেসেজে জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিস-এর মতাদর্শ প্রচার করা হচ্ছিল ৷ জনমানসে আতংক ছড়ানোর জন্য অফিসের কম্পিউটারও বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছিল আনিস ৷ ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভারতের অখণ্ডতা ও একতাকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল ওই যুবক ৷ আদালতে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণা! ভাড়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলত কোটির কারবার
বিচারক তাঁর রায় শোনানোর সময় বলেন, "এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি থারমাইট বম্ব তৈরির প্রক্রিয়া এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওমর এলহাজকে সরবরাহ করেছিল ৷" এরপরই বিচারক জানান, আনিস যে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছিল, তার প্রমাণ মিলেছে ৷ নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিস-এর মতবাদ প্রচার করাও তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ৷
এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন মধুকর দালভি ৷ তিনি প্রথম থেকেই আনিসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেন ৷ আদালতে তাঁর বক্তব্য ছিল, "অভিযুক্ত ব্যক্তি উচ্চশিক্ষিত ৷ তিনি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র ৷ এই ঘটনায় উচ্চমানের পারদর্শিতা ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রয়োগ করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের শিক্ষার অপব্যবহার করেছেন ৷" সরকারি আইনজীবীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিচারকও ৷