নয়াদিল্লি, 18 জুন: জরুরি অবস্থাকে দেশের ইতিহাসে একটি 'অন্ধকার সময়' হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রবিবার তাঁর মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠান মন কি বাতে তিনি বলেছেন যে, সেই সময়ে যাঁরা গণতন্ত্রকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের নির্যাতিত করা হয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা বিপন্নকারী এমন অপরাধের দিকে নজর দিলেই তরুণ প্রজন্মের গণতন্ত্রের অর্থ ও তাৎপর্য বোঝাটা সহজ হবে ৷
রবিবার মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত গণতন্ত্রের জননী এবং "আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক আদর্শকে সবার উপরে রাখি এবং আমাদের সংবিধানকে সর্বোচ্চ বলে মনে করি ৷ সেই কারণে আমরা 25 জুনকে কখনওই ভুলতে পারি না । সেই দিনটিতে যখন আমাদের দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হল, তা হল ভারতের ইতিহাসে একটি অন্ধকার সময় ৷"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, লাখ লাখ মানুষ পূর্ণ শক্তিতে সে দিন জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন । তাঁর কথায়, "সেই সময়ে গণতন্ত্রের সমর্থকদের এত অত্যাচার করা হয়েছিল যে, আজও তা ভাবলে আমরা ভয়ে কাঁপতে থাকি ৷" পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারা পরিচালিত নৃশংসতা এবং শাস্তির উপর অনেক বই লেখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মোদি ৷ তিনি বলেন, সেই সময় নিয়ে তিনিও একটি বই লিখেছেন, 'সংঘর্ষ মে গুজরাত'৷ তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগে তিনি জানতে পেরেছেন যে, জরুরি অবস্থা নিয়ে আর একটি বই লেখা হয়েছিল, 'টর্চার অফ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স ইন ইন্ডিয়া'৷ জরুরি অবস্থার সময় প্রকাশিত এই বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে যে সেই সময়ে, সরকার গণতন্ত্রের অভিভাবকদের সঙ্গে কীভাবে সবচেয়ে নিষ্ঠুর আচরণ করেছিল ৷ এই বইটিতে অনেক কেস স্টাডি রয়েছে ।
আরও পড়ুন: ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে, মন কি বাতে 'বিপর্যয়' প্রসঙ্গে দাবি মোদির
মোদির কথায়, "আমি কামনা করি যে, আজ যখন আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি, আমাদের অবশ্যই এমন অপরাধের দিকে নজর দিতে হবে যা দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে । এগুলি আজকের তরুণ প্রজন্মকে গণতন্ত্রের অর্থ ও তাৎপর্য বোঝাতে সাহায্য করবে ।" প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকার 1975 সালে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দিন জানান, তিনি তাঁর 'মন কি বাত' রেডিয়ো সম্প্রচার মাসের শেষ রবিবারের পরিবর্তে 18 জুন অর্থাৎ আজ করেন, কারণ তিনি আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন । তিনি জানান, সফরকালে তিনি নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন । তাঁর বার্তা, "আমি আপনাদের সকলের কাছে যোগব্যায়ামকে আপনাদের জীবনে গ্রহণ করার জন্য এবং এটিকে আপনাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ করার জন্য আবেদন করছি ।"