দাবনাগিরি (কর্ণাটক), 15 নভেম্বর: বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, হাতি, ভল্লুকের হামলায় প্রাণ খোয়ানোর ঘটনা প্রায় শোনা যায় ৷ তবে বাঁদরের আক্রমণে কারও মৃত্যু হয়েছে, এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে ৷ তেমনটাই হয়েছে কর্ণাটকের দাবনাগিরি জেলার আরাকিরি গ্রামে ৷ এখানে একটি বাঁদরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ় গুটাপ্পা বিন রঙ্গাপ্পার (66) ৷ পরে অবশ্য ওই বাঁদরটিকে ধরা হয়েছে ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত 3-4 দিন ধরেই আরাকিরি গ্রামে বাঁদরের উপদ্রব বেড়েছিল ৷ বিশেষত একে কলোনি এলাকায় যেন একটু বেশিই ৷ এলাকার বাসিন্দারা এই হামলায় রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ৷ 12 নভম্বর, রবিবার গুটাপ্পা বিন রঙ্গাপ্পা মধ্যরাতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন ৷ তাঁকে একটি বাঁদর আক্রমণ করে এবং প্রৌঢ়ের হাতে কামড়ে দেয় ৷ হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে ৷ ওই অবস্থায় কোনও রকমে গুটাপ্পা বাড়ির কাছে আসেন ৷
পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হন্নালি তালুক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই সোমবার তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ওই রাতে গ্রামের আরেক বাসিন্দাকেও আক্রমণ করে বাঁদরের দল ৷ তবে তাঁর খুব একটা ক্ষতি হয়নি ৷
বন আধিকারিক শশীধর বলেন, "এমন ঘটনা বিরল ৷ রবিবার মাঝরাতে গুটাপ্পাকে বাঁদর আক্রমণ করে ৷ তখন গুটাপ্পাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাঁদরেরা আরেকজনকেও আক্রমণ করেছিল ৷ কিন্তু তাঁর কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি ৷ ওই গ্রামে 30 জনেরও বেশি কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ বাঁদরগুলিকে ধরা হয়েছে ৷ ওদের বন দফতরে পাঠানো হয়েছে ৷ পশু চিকিৎসকেরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে ৷ পরে ওদের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ তবে এই ঘটনায় গুটাপ্পার পরিবারকে সরকার 15 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে ৷ আর সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য প্রতি মাসে 4 হাজার টাকা ৷"
বাঁদরের কামড়ে গুটাপ্পার মৃত্যুতে হন্নালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ হন্নালি জোন ফরেস্টের আধিকারিকরা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বাঁদরগুলিকে ধরেছে ৷ এই উপদ্রবের পর গ্রামবাসীও বাঁদরগুলিকে ধরার দাবি তুলেছে ৷ গুটাপ্পাকে কামড়ানোর দু'দিন বাদে একটি নিম গাছ থেকে ওই বাঁদরটিকে হাতেনাতে ধরে বন দফতরের কর্মীরা ৷ সেই সময় বাঁদরটি গাছে বসেছিল ৷
আরও পড়ুন:
1. সুকনায় চিতাবাঘের হামলায় জখম 3, ভরতি হাসপাতালে
2. উত্তরপ্রদেশের অফিসে ঢুকে পড়ল বাঁদর, দেখুন তারপর কী কাণ্ড ঘটাল সে
3. দোকান খুললেই কেড়ে নিচ্ছে মদ, সুরাপ্রেমী বাঁদরে অতিষ্ঠ রায়বরেলির ব্যবসায়ীরা