রায়বেরেলি, 6 ডিসেম্বর: সরকারি বাসভবনে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক চোখের চিকিৎসক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলিতে ৷ লালগঞ্জ রেলওয়ে কোচ কারখানায় ডিএমও হিসেবে কর্মরত ছিলেন চক্ষু চিকিৎসক অরুণ সিং ৷ সরকারি বাসভবনের দরজা ভেঙে পুলিশ সকলের উদ্ধার করে । বিছানায় পড়ে ছিল চিকিৎসকের স্ত্রী অর্চনা সিং, ছেলে আরভ ও মেয়ে আদিভার দেহ । চারটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ । ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেনসিক দল ।
পুলিশ সুপার অলোক প্রিয়দর্শী বলেন, "চিকিৎসক প্রথমে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে এবং পরে তাঁদের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে । এরপর ওই চিকিৎসক নিজেও আত্মহত্যা করেন ।"
জানা গিয়েছে, রায়বেরেলি জেলার লালগঞ্জে অত্যাধুনিক রেল কোচ কারখানায় 2017 থেকে ডিএমও পদে কর্মরত ছিলেন অরুণ সিং ৷ যিনি চোখের একজন শল্য চিকিৎসকও ৷ তিনি স্ত্রী অর্চনা সিং, মেয়ে আদিভা এবং ছেলে আরভকে নিয়ে কারখানার আবাসনেই থাকতেন । চিকিৎসককে শেষ দেখা গিয়েছিল রবিবার ।
এরপর স্থানীয়রা ওই চিকিৎসক কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যকে আর দেখতে পাননি । অরুণের সহকর্মীরা তাঁকে খুঁজতে ঘরে গেলে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান । জানালা দিয়ে ঘরে উঁকি দিয়ে তাঁরা দেখেন, চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে । এ বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয় । পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেনসিক দলও । দরজা ভেঙে দেহগুলি বের করে আনে পুলিশ । ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে । কী কারণে এই ঘটনা ঘটালেন চিকিৎসক, তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: