নয়া দিল্লি, 18 অগস্ট : সুনন্দা পুষ্কর (Sunanda Pushkar) মৃত্যু মামলায় শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) রেহাই দিল দিল্লি আদালত (Delhi Court) । 2014 সালের 17 জানুয়ারি দিল্লির এক হোটেলে উদ্ধার হয় 52 বছর বয়সি সুনন্দার দেহ । ময়নাতদন্তে পাকস্থলীতে বিষ মেলে । তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী শশী থারুরের বিরুদ্ধে । অবশেষে আজ সাড়ে সাত বছর পর শশী থারুরকে সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই দিল দিল্লি আদালত ।
মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন থারুর । তিনি বলেন, ধন্যবাদ । প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছি । শশী থারুরের আইনজীবী আদালতে জানান, শশী থারুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার কোনওটাই প্রমাণ করতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল । এরপরই শশী থারুরকে সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই দেয় দিল্লি আদালত ।
2014 সালের 17 জানুয়ারি দিল্লির এক হোটেলে উদ্ধার হয় শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের দেহ । ময়নাতদন্তে পাকস্থলীতে বিষ মেলে । ওয়াশিংটনে FBI-এর কাছে ভিসেরার নমুনা পাঠানো হয় । পাকস্থলী, প্লীহা, লিভার, কিডনি ও মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠায় তারা । রিপোর্টে বলা হয়, প্রত্যেকটি দেহাংশেই বিষ মিলেছে । বিষক্রিয়াই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ । দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, সুনন্দা পুষ্করের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর সারা শরীরে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে 15টি আঘাতের চিহ্ন ছিল ।
এদিকে, জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত অশান্তি হত সুনন্দার । সেইসময় পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের সঙ্গে শশীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানা গিয়েছিল । অনেক প্রমাণও মিলেছিল । অভিযোগ উঠেছিল, শশী থারুর নাকি স্ত্রীকে অত্যাচার করত । আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিত । সব মিলিয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি ৷
স্ত্রীকে অত্যাচারের জন্য ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির 498এ এবং 306 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল শশী থারুরের বিরুদ্ধে । এতদিন ধরে জামিনে মুক্ত ছিলেন শশী থারুর । অবশেষে সাড়ে সাত বছর পর স্বস্তি পেলেন শশী থারুর ।