বেঙ্গালুরু, 13 জুন: মাকে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে ৷ তারপর মায়ের মৃতদেহ একটি স্যুটকেসে ভরে রাখে মেয়ে ৷ এরপর সেই সুটকেসটি নিয়ে তিনি সরাসরি থানায় যান ৷ সেখানে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৷ সোমবার রাতে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ৷
সোমবার রাতে সাড়ে 11টা নাগাদ মাইকো লেআউট থানায় গিয়ে সেনালি জানান, তাঁর মা 70 বছর বয়সি বীভা পালকে তিনি হত্যা করেছেন ৷ থানার পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনায় চমকে যান ৷ থানা সূত্রে খবর, মায়ের মৃতদেহ সুটকেসে ভরে থানায় নিয়ে আসেন সেনালি ৷ তারপর পুলিশের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন এবং নিজেই নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় কলকাতায় থাকতেন সেনালি সেন ৷ গত বছর ছয়েক ধরে তিনি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে থাকছিলেন ৷ 39 বছরের ওই বাঙালি মহিলার সঙ্গে তাঁর মাও থাকতেন ৷ জানা গিয়েছে, বাবার মৃত্যুর মাকে দেখভালের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই এসে পড়ে । সেনালি বিবাহিত এবং তাঁর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ৷ তিনি ফিজিওথেরাপিতে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেছেন ৷
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন রাত 11টা নাগাদ সেনালির মা মেয়েকে পেটে যন্ত্রণার কথা জানান ৷ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল ৷ তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল ৷ অভিযোগ, হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে সেনালি তাঁর মাকে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন ৷ এরপর মায়ের মৃত্যু হয় ৷ তারপর মায়ের দেহটি সুটকেসে ভরেন এবং তার মধ্যে সেনালি তাঁর বাবার একটি ছবিও রাখেন ৷ তারপর পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ ৷
সেনালি যে বহুতল আবাসনে থাকতেন, সেখানেই আলাদা আলাদা ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁর মা ও শাশুড়ি ৷ প্রতিদিনই তাঁদের দু'জনের মধ্যে অশান্তি হত ৷ এই পারিবারিক বিবাদের জেরে মানসিক চাপে ছিলেন সেনালি ৷ এর জন্য তিনি নিজেও ঘুমের ওষুধ খেতেন বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোয় ছাত্রীকে খুন করে আত্মসমপর্ণ প্রৌঢ়ের