মুম্বই, 18 মে : গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় তখতে, তাও 185 কিলোমিটার বেগে ৷ তার আগেই সোমবার বিকেলে প্রচণ্ড বৃষ্টি, প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় মুম্বইয়ের আরব সাগরে ভেসে গেল 410 জন-সহ দুটি বার্জ ৷
খবর পাওয়া মাত্র তিনটি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি আর আইএনএস তলওয়ার-সহ মাঠে নেমে পড়ে ভারতীয় নৌবাহিনী ৷
মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, "খুবই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে বার্জ পি305-এর 177 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷" বাকিদের খোঁজে সারা রাত "দ্য সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ" (এসএআর) অর্থাৎ তল্লাশি চালানো হয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে এক নৌআধিকারিক বলেন, "বোম্বে হাই অঞ্চলের হিরা অয়েল ফিল্ডের কাছ থেকে পি305 ভেসে যায় ৷ তাতে মোট 273 জন ছিলেন ৷ এই বার্জের তরফে উদ্ধারের রসিদ পাওয়ার পরই আইএনএস কোচি বেরিয়ে পড়ে ৷" এই অয়েল ফিল্ড থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব 70 কিমি ৷ তিনি আরো জানান যে, প্রচণ্ড খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালানো হয় ৷ এখনো অবধি 177 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷
আরো পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় তখতের তাণ্ডবে মহারাষ্ট্রে প্রাণ গেল 6 জনের
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আরেকটা ভিন্ন অভিযানে আইএনএস কলকাতা ভারা প্রভার লাইফ ব়্যাফ্ট থেকে জীবিত দুজনকে উদ্ধার করে ৷ এর পর আইএনএস কোচির সঙ্গে জোট বেঁধে পি305-এর নাবিকদের জন্য এসএআর চালায় ৷"
অন্য একটি বার্জ গাল কনস্ট্রাকটর মুম্বইয়ের উপকূল কোলাবা পয়েন্ট থেকে 8 নটিকাল মাইলস (এনএম) দূরে চলে যায় ৷ ইঞ্জিনের সমস্যার জন্যই বার্জটা ভেসে গিয়েছিল, আর তাতে 137 জন ছিলেন, জানালেন মুখপাত্র ৷
"সমুদ্রে এই বার্জের এলাকার কাছেই এমার্জেন্সি টাওয়িং ভেসেল 'ওয়াটার লিলি' পৌঁছেছিল, বার্জটিকে সাহায্য করতে ৷ কিন্তু উত্তাল সমুদ্রে আরো দূরে চলে যেতে থাকে বার্জটি ৷" তখতে আসার অনেক আগে থেকে নৌবাহিনী বেশি সংখ্যক এয়ারক্রাফ্ট, হেলকপ্টার নিয়ে তৈরি ছিল ৷ মঙ্গলবার আবহাওয়ার একটু উন্নতি হতেই এসএআর চালানো শুরু করেছে বাহিনী, আজ সারা দিন ধরেই চলবে ৷
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা অবধি উদ্ধার করা হয়েছে 177 জনকে ৷