নিউ দিল্লি, 16 মে : স্বাধীনতার পর সম্ভবত কোভিড-19 প্যানডেমিকই দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ আর এই পরিস্থিতিতে সরকারও অনেক জায়গায় নানা কারণে সাহায্য করতে পারেনি ৷ বললেন প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন ৷ বর্তমানে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ৷
দিল্লির শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি আরো জানান, এই মুহূর্তে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট আর মাঝারি শিল্পকে বাঁচাতে হলে দ্রুত দেউলিয়ার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ তাঁর কথায়, "প্যানডেমিক ভারতকে একটা দুঃসময়ের মুখোমুখি করেছে ৷"
প্যানডেমিক প্রসঙ্গে রাজন ?
প্রথমে প্যানডেমিকের রুখতে লকডাউন জারি করার ফলে অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল ৷ এবার এটা অর্থনৈতিক তো বটেই, এমনকি ব্যক্তিগতও ৷ এমনকি আরেকটু এগোলে বুঝতে পারব সামাজিক অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে ৷
মহারাষ্ট্র সরকার কোভিড-19 রোগীদের হাসাপাতালে ভর্তি করতে পারছে ৷ কিন্তু অনেক জায়গাতেই সরকার নানা কারণে এই ধরনের সুবিধে দিতে পারছে না ৷
প্যানডেমিক-পরবর্তী পর্যায়ে আমরা যদি সমাজকে জরুরি প্রশ্ন না করি, তাহলেসেটাও প্যানডেমিকের মতোই দুঃখজনক হবে ৷ প্যানডেমিক কেটে গেলে বুঝতে পারব কোথায় সরকার ভেঙে পড়ে ৷ প্যানডেমিক এটা দেখিয়ে দিয়েছে যে আমরা সবাই একসঙ্গে জুড়ে আছি ৷ কোনো পুরুষ বা মহিলা, কেউই একা একটা দ্বীপ নয় ৷
কখনো কখনো নিজেকে সম্পূর্ণ খোলাখুলি সংশোধন করতে হবে, গোপনে নয় ৷
আরো পড়ুন: গঙ্গায় দেহ ভাসানোর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে তোপ রাহুল গান্ধির
আইআইটি দিল্লিতে দেওয়া বিতর্কিত বক্তৃতা
আইআইটি দিল্লিতে দেওয়া বক্তৃতা সরকারের সমালোচনা ছিল না... একটার সঙ্গে একটা জড়িয়ে গিয়েছিল ৷ আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা দরকার, সমালোচনা করার স্বাধীনতা দরকার, এটাই ভারতকে একুশ শতকের জন্য তৈরি করবে ৷
সরকারের আপস করা দরকার, নীতিগুলি সংশোধন করতে হবে, কিন্তু বিনম্র ভাবে ৷ তবে সরকারের ভিতরে আর বাইরেও যথেষ্ট লোকজনকে কথা বলতে দিতে হবে, না হলে একটা বিপর্যয় হবে ৷