ETV Bharat / bharat

Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করে দেখা উচিত নয়, বললেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়

CJI DY Chandrachud: কেরালা থেকে হওয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করে দেখা উচিত নয় ৷ তিনি প্রশ্ন করেছেন, দেশের সব সমস্যার মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট করা কি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সম্ভব ? লিখেছেন ইটিভি ভারত-এর সুমিত সাক্সেনা ৷

Chief Justice of India DY Chandrachud
Chief Justice of India DY Chandrachud
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 10, 2023, 7:08 PM IST

নয়াদিল্লি, 10 অক্টোবর: সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করে দেখা উচিত নয় ৷ মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিনে এমনই কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁর বক্তব্য, দেশে এমন এক হাজার সমস্যা থাকতে পারে ৷ যা নিয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়তো উচিত ৷ তার পরও দেশের সব সমস্যার মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট করা কি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সম্ভব ?

কেরালায় বন্দি হাতিদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে একটি আবেদন করা হয় শীর্ষ আদালতে ৷ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই নিয়ে শুনানি হয় ৷ সেখানেই এই মত প্রকাশ করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ পাশাপাশি বেঞ্চের তরফে আবেদনকারী আইনজীবী সিইউ সিং-কে বলা হয়, "আপনি হাইকোর্টে যান না কেন ? সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করা উচিত নয়...এবং এটি একটি জনস্বার্থ মামলাও নয়, আপনি একজন হস্তক্ষেপকারী... ৷"

ওই আইনজীবী আদালতকে জানান, কেরালায় 2018 থেকে 2022 সালের মধ্যে 130টিরও বেশি বন্দি হাতি মারা গিয়েছিল । 2023 সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে আরও 22টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ৷ জানানো হয়েছে যে এই মৃত্যুর হার সামান্য বেশি ৷ শুধুমাত্র অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে৷ তারা ময়নাতদন্তও করছে না ৷

সেই সময়ই প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন ৷ যদিও আবেনকারী উৎসবের মরশুমে মন্দিরের সামনে হাতি নিয়ে শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির এবং এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেন ৷ সেই সময় প্রধান বিচারপতি জানান, এই আবেদনের গুরুত্ব রয়েছে ৷ সারা দেশে এমন হাজার হাজার গুরুতর সমস্যা রয়েছে ৷

প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাদের হাইকোর্ট আছে । এই হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি আছেন, তাঁরা জানেন বাস্তব পরিস্থিতি । তাঁরা জানেন হাতির ব্যবহার বন্ধ করার আদেশ দেওয়ার প্রভাব এমন একটি বিষয়, যা স্থানীয় অনুভূতির সঙ্গেও সম্পর্কিত । আমরা যে আদেশ পাশ করব, তার প্রভাব জানি না । উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা স্থানীয় পরিস্থিতি বোঝার জন্য উপযুক্ত । তারা প্রেক্ষাপট বোঝেন... তারা গুরুতর ভুল করলে প্রাথমিকস্তরে বিষয়টি মোকাবিলা করতে পারে ৷ আমরা এখানে সেই ত্রুটিগুলি সংশোধন করার জন্য... ৷"

প্রধান বিচারপতি জোর দিয়ে বলেন, "আমরা কীভাবে একটি দেশ চালাতে পারি... আগামিকাল, আমাদের কাছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক থেকে একটি হস্তক্ষেপের আবেদন আসবে । আমরা কীভাবে এর মোকাবিলা করব... এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা কী ? সারা দেশে উদ্ভূত সমস্যাগুলির মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করবে না ।" শুনানি শেষে শীর্ষ আদালত বন্দিদশায় হাতির মৃত্যু সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে হস্তক্ষেপকারীর কথা শুনতে রাজি হয় । ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মূল মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট পরীক্ষা নিয়ে কমিশনে আস্থা সুপ্রিম কোর্টের, খারিজ কংগ্রেসের আবেদন

নয়াদিল্লি, 10 অক্টোবর: সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করে দেখা উচিত নয় ৷ মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিনে এমনই কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁর বক্তব্য, দেশে এমন এক হাজার সমস্যা থাকতে পারে ৷ যা নিয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়তো উচিত ৷ তার পরও দেশের সব সমস্যার মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট করা কি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সম্ভব ?

কেরালায় বন্দি হাতিদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে একটি আবেদন করা হয় শীর্ষ আদালতে ৷ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই নিয়ে শুনানি হয় ৷ সেখানেই এই মত প্রকাশ করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ পাশাপাশি বেঞ্চের তরফে আবেদনকারী আইনজীবী সিইউ সিং-কে বলা হয়, "আপনি হাইকোর্টে যান না কেন ? সুপ্রিম কোর্টকে ছোট করা উচিত নয়...এবং এটি একটি জনস্বার্থ মামলাও নয়, আপনি একজন হস্তক্ষেপকারী... ৷"

ওই আইনজীবী আদালতকে জানান, কেরালায় 2018 থেকে 2022 সালের মধ্যে 130টিরও বেশি বন্দি হাতি মারা গিয়েছিল । 2023 সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে আরও 22টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ৷ জানানো হয়েছে যে এই মৃত্যুর হার সামান্য বেশি ৷ শুধুমাত্র অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে৷ তারা ময়নাতদন্তও করছে না ৷

সেই সময়ই প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন ৷ যদিও আবেনকারী উৎসবের মরশুমে মন্দিরের সামনে হাতি নিয়ে শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির এবং এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেন ৷ সেই সময় প্রধান বিচারপতি জানান, এই আবেদনের গুরুত্ব রয়েছে ৷ সারা দেশে এমন হাজার হাজার গুরুতর সমস্যা রয়েছে ৷

প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাদের হাইকোর্ট আছে । এই হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি আছেন, তাঁরা জানেন বাস্তব পরিস্থিতি । তাঁরা জানেন হাতির ব্যবহার বন্ধ করার আদেশ দেওয়ার প্রভাব এমন একটি বিষয়, যা স্থানীয় অনুভূতির সঙ্গেও সম্পর্কিত । আমরা যে আদেশ পাশ করব, তার প্রভাব জানি না । উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা স্থানীয় পরিস্থিতি বোঝার জন্য উপযুক্ত । তারা প্রেক্ষাপট বোঝেন... তারা গুরুতর ভুল করলে প্রাথমিকস্তরে বিষয়টি মোকাবিলা করতে পারে ৷ আমরা এখানে সেই ত্রুটিগুলি সংশোধন করার জন্য... ৷"

প্রধান বিচারপতি জোর দিয়ে বলেন, "আমরা কীভাবে একটি দেশ চালাতে পারি... আগামিকাল, আমাদের কাছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক থেকে একটি হস্তক্ষেপের আবেদন আসবে । আমরা কীভাবে এর মোকাবিলা করব... এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা কী ? সারা দেশে উদ্ভূত সমস্যাগুলির মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করবে না ।" শুনানি শেষে শীর্ষ আদালত বন্দিদশায় হাতির মৃত্যু সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে হস্তক্ষেপকারীর কথা শুনতে রাজি হয় । ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মূল মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট পরীক্ষা নিয়ে কমিশনে আস্থা সুপ্রিম কোর্টের, খারিজ কংগ্রেসের আবেদন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.