মুম্বই, 5 এপ্রিল : পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, বম্বে হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়াতেই এই পদক্ষেপ করেছেন অনিল ৷
প্রসঙ্গত, অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নামার জন্য এদিনই সিবিআই-কে নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট ৷ অনিলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এদিন আদালতের তরফে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে আইন মাফিক ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করতে বলা হয় ৷ 15 দিনের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট ৷
এই ঘটনায় তিনটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ একটি মামলা করেছেন পরমবীর সিং নিজেই ৷ বাকি দু’টি মামলা রুজু করেছেন জয়শ্রী পাতিল নামে মুম্বইয়ের এক আইনজীবী এবং মোহন ভিদে নামে এক শিক্ষক ৷ সোমবার এই মামলাগুলির শুনানি চলছিল মুম্বই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে ৷ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নি বলেন, অনিল দেশমুখ রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ আর তাই পুলিশের পক্ষে নিরপেক্ষ তদন্ত করা সম্ভব নয় ৷ এই কারণেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন : ‘‘এফআইআর কোথায়?’’ পরমবীর সিং-কে ভর্ৎসনা বোম্বে হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, গত 25 মার্চ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিলেন পরমবীর সিং ৷ তাঁর দাবি, বার ও রেস্তরাঁগুলি থেকে মাসে 100 কোটি টাকা তোলা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিয়েছিলেন অনিল ৷ তোলা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক ও কর্মীর উপর ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুম্বই পুলিশের সাসপেন্ডেড অ্য়াসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর সচিন ওয়াজ়ে ৷ আপাতত যিনি এনআইএ হেফাজতে রয়েছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ির রাখার এবং সেই ঘটনায় হিরেন মনসুখ নামে এক ব্য়বসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ৷