নয়াদিল্লি,1 ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হওয়ার পরই রাজনৈতিকভাবে তৎপর হবে বিজেপি । আগামী 12 দিন ধরে বিশেষ প্রচার চলবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বাজেট থেকে সাধারণ মানুষের কী কী প্রাপ্তি হল তা এভাবেই তুলে ধরা হবে। বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির নেতৃত্বে চলবে এই বিশেষ প্রচার (BJP leader Sushil Kumar Modi will lead the special campaign)।
বাজেটের কতটা জনমোহিনী তা ভালোভাবে বোঝাতে ইতিমধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে সুশীল মোদি ছাড়াও আছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুনাীল বনসল থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা থাকছেন । তাছাড়া বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। বলা হয়েছে, বাজেট পেশ হওয়ার পরই বিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করবেন। যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি বা ওই ধরনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
বুধবার থেকে আগামী 12 দিন লাগাতার সাংবাদিক সম্মেলন হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির বিভিন্ন শাখা সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারাও সাংবাদিক বৈঠক করবেন লাগাতার। সমাজের প্রতিটি অংশের জন্যই যে কেন্দ্রীয় সরকার নানা পরিকল্পনা করেছে সেটাই বোঝাতে চাওয়া হবে এই সমস্ত সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে। সবমিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে আগামী বছরের লোকসভার নির্বাচনের আগে শেষ বড় বাজেটকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি ।
এদিকে বিরোধী শিবিরও তৈরি হচ্ছে । স্বভাবতই বাজেটে সরকার কোন কোন দিকে নজর দেয়নি তা নিয়ে সরব হবে বিরোধী দলগুলি । তাছাড়া বাজেটের ভালো দিক তুলে ধরত বিজেপি যে ধরনের কর্মসূচি নেবে বিরোধীরা যে সেগুলির মোকাবিলা করতোে নিজেদের মতো প্রচার করবে সেটাও মোটের উপর পরিস্কার। আর এই তরজা এবং পালটা তরজাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন উতপ্তই থাকতে চলেছে রাজনীতি ।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বে মোদি সরকারের কাজের প্রশংসা রাষ্ট্রপতির বাজেট ভাষণে