কালবুর্গি (কর্নাটক), 21 এপ্রিল : আয় বলতে সেভাবে কিছু নেই । বাজারে ফল বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালায় মেয়ে । লকডাউনের জেরে তাও বন্ধ । মেলেনি সরকারি সাহায্য । পান না বার্ধক্য ভাতাও । তাই আপাতত কোনওদিন একবেলা খেয়ে, কোনওদিন অনাহারে দিন কাটছে কর্নাটকের গুরুবাই-এর । লকডাউনে প্রতিবেশীরা সাহায্য করলেও তা দিয়ে আর ক'দিন? বলছেন তিনি ।
কর্নাটকের কালবুর্গি জেলার সুরপুরা তালুকের গোগিকেরা অঞ্চল । এখানেই বিগত 50 বছর ধরে রয়েছেন গুরুবাই । থাকেন মাত্র 4.5 বর্গফুটের একটি কুঁড়ে ঘরে । 50 বছর আগে বিয়ে করে এখানে আসেন তিনি । কিন্তু কিছুদিন পরই স্বামী তাঁকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান । মেয়েকে নিয়ে একা ওই এলাকায় থাকতে শুরু করেন তিনি । 25 বছর আগে সরকারের আশ্রয় যোজনা (গরিবদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার একটি প্রকল্প)- য় ঘর মিললেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেটি নষ্ট হয়ে যায় । বাড়ি করার ক্ষমতা না থাকায় ওই জায়গাতেই ছাউনি দিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি । প্রায় 20 বছর হতে চলল এই এক চিলতে জায়গায়তেই কোনও রকমে দিন কাটছে তাঁর ।
আধার কার্ড হওয়ার সময় অনেক চেষ্টা করেছিলেন নিজের কার্ড বানাতে । কিন্তু পারেননি । নেই রেশন কার্ডও । ফলে মিলছে না সরকারের থেকে বিনামূল্যে রেশন বা বার্ধক্য ভাতা । লকডাউনে মেয়ে বাইরে ফলও বিক্রি করতে পারছে না । তাই কার্যত অনাহারেই দিন কাটছে বৃদ্ধার ।
তাঁর এই পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসেছেন সাহায্য করতে । কিন্তু এই দিয়ে আর কতদিন । অনেকেই তাঁর এই পরিস্থিতির কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানোর চেষ্টা করেছেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । মেলেনি সাহায্য ।