ETV Bharat / bharat

সকলের জন্য টিকা - টিকাকরণ অভিযান

টিকা দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে যাঁদের নেওয়ার কথা ছিল, তাঁরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় নির্মাতাদের কাছে টিকার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । ফলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে, যেখানে একটা অংশ টিকার খোঁজ শুরু করেছে, অন্যদিকে অন্য একটি অংশ টিকা নিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে

টিকা
সকলের জন্য টিকা
author img

By

Published : Feb 9, 2021, 1:12 PM IST

যে কোনও প্যানডেমিকের মূল কারণ খুঁজে বের করতে 114 টি দেশের 153 টি সংগঠন পরিচালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রয়েছে । 2019 সালে তারা সতর্ক করে দিয়েছিল যে ইবোলা, জিকা, নিপা, এমইআরএস এবং সারসের মতো ভাইরাসের সঙ্গে আরও একটি বিপজ্জনক রোগ জীবাণু বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য চূড়ান্তভাবে চেষ্টা করছে । এই পূর্বাভাসকে সত্যি বলে প্রমাণ করেছে কোরোনা । যা বিশ্ব জুড়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে । যার ফলে 23.22 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । ভারতে 1.08 কোটি মানুষকে সংক্রামিত করার পরে এবং 1.55 লাখ মানুষের মৃত্যুর পর এই প্যানডেমিকের শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ ক্রমশ দেখা যেতে শুরু করেছে । যদিও মৃত্যুর ঘটনা সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে । অ্যামেরিকা ও ইউরোপে কোরোনায় মৃত্যুর যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তার প্রেক্ষিতে এই টিকাকরণে কোনও রকম শিথিলতা করা উচিত নয় । সেই কারণেই টিকাকরণ অভিযানকে আরও তীব্র করার সম্ভাবনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্কতার ইঙ্গিত দিয়েছে ।

প্রথম পর্যায়ে কেন্দ্র শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির কোরোনা যোদ্ধাদের মধ্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রেখেছে । যদিও 55 শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী টিকাগ্রহণ করেছেন । পুলিশ ও সাফাই কর্মীদের মধ্যে মাত্র 4.5 শতাংশ টিকা নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিৎকার করে বলেছে যে, বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে মুখোমুখি হওয়া দশটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হল টিকা নিতে দ্বিধাবোধ করা । কেন্দ্রের উচিত এই নিয়ে একটি শক্তিশালী কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা, যা টিকাকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্ত দ্বিধা দূর করবে । কারণ, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয় ।

কেন্দ্রের কথায়, এখন যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এটা ছাড়া আরও 7 টি ভ্যাকসিন দেশে তৈরি করার কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে । পরের মাস থেকে সরকার 50 বছরের বেশি বয়সের মানুষদের জন্য টিকাকরণের কাজ চালু করতে চলেছে । বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টিকা দেওয়ার জন্য 35 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন । সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের এক সচিব জানিয়েছেন, যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে 50 কোটি লোককে টিকা দেওয়া যেতে পারে । ভারত উদারতা দেখিয়ে 17 টি দেশে টিকার 55 লাখ ডোজ রপ্তানি করেছে । টিকা তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সৌভাগ্যের বিষয় ।

আরও পড়ুন : খুলছে স্কুল, বিস্তারিত গাইডলাইন দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর

যেহেতু একই সঙ্গে 138 কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সকলকে টিকা দেওয়া অসম্ভব, তাই কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে । টিকা দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে যাঁদের নেওয়ার কথা ছিল, তাঁরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় নির্মাতাদের কাছে টিকার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । ফলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে, যেখানে একটা অংশ টিকার খোঁজ শুরু করেছে, অন্যদিকে অন্য একটি অংশ টিকা নিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে । কেন্দ্রের টিকা তৈরি করার সম্পূর্ণ ক্ষমতার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া উচিত । বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও টিকা দেওয়ার কাজে অংশীদার করা উচিত । কোরোনার টিকা প্রতিটি নাগরিকের জন্য উপলব্ধ করা উচিত ।

আরও পড়ুন : মার্চেই তৃতীয় কোভিড টিকা পাবে দেশ! আশা জাগাচ্ছে স্পুটনিক ভি

সরকারি টিকা দেওয়ার কাজের প্রায় 85 শতাংশ 12 টি রাজ্যের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে রয়েছে । বাকি রাজ্যগুলির পিছিয়ে থাকার কারণও খতিয়ে দেখা উচিত । কালোবাজারে যাতে টিকা চলে না যায়, তা রুখতে কড়া নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে । জিপিএসের সাহায্যে টিকার পরিবহণের উপর নজরদারি চালাতে হবে । টিকা দেওয়ার কাজকে সফল করতে গেলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়কেই একযোগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে । কোরোনার টিকা নিতে মানুষ যে দ্বিধা বোধ করছে, তা সমূলে উৎপাটিত করতে প্রচারের বিষয়কে নিপুণ ভাবে তৈরি করতে হবে । প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তখনই জেতা যাবে, যখন বিপুল সংখ্যায় মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসবেন । আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষ এগিয়ে এলে, তাঁরা অন্যদেরও দ্বিধা দূরে সরিয়ে দিতে কার্যকরী হতে পারবেন ।

যে কোনও প্যানডেমিকের মূল কারণ খুঁজে বের করতে 114 টি দেশের 153 টি সংগঠন পরিচালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রয়েছে । 2019 সালে তারা সতর্ক করে দিয়েছিল যে ইবোলা, জিকা, নিপা, এমইআরএস এবং সারসের মতো ভাইরাসের সঙ্গে আরও একটি বিপজ্জনক রোগ জীবাণু বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য চূড়ান্তভাবে চেষ্টা করছে । এই পূর্বাভাসকে সত্যি বলে প্রমাণ করেছে কোরোনা । যা বিশ্ব জুড়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে । যার ফলে 23.22 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । ভারতে 1.08 কোটি মানুষকে সংক্রামিত করার পরে এবং 1.55 লাখ মানুষের মৃত্যুর পর এই প্যানডেমিকের শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ ক্রমশ দেখা যেতে শুরু করেছে । যদিও মৃত্যুর ঘটনা সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে । অ্যামেরিকা ও ইউরোপে কোরোনায় মৃত্যুর যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তার প্রেক্ষিতে এই টিকাকরণে কোনও রকম শিথিলতা করা উচিত নয় । সেই কারণেই টিকাকরণ অভিযানকে আরও তীব্র করার সম্ভাবনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্কতার ইঙ্গিত দিয়েছে ।

প্রথম পর্যায়ে কেন্দ্র শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির কোরোনা যোদ্ধাদের মধ্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রেখেছে । যদিও 55 শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী টিকাগ্রহণ করেছেন । পুলিশ ও সাফাই কর্মীদের মধ্যে মাত্র 4.5 শতাংশ টিকা নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিৎকার করে বলেছে যে, বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে মুখোমুখি হওয়া দশটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হল টিকা নিতে দ্বিধাবোধ করা । কেন্দ্রের উচিত এই নিয়ে একটি শক্তিশালী কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা, যা টিকাকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্ত দ্বিধা দূর করবে । কারণ, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয় ।

কেন্দ্রের কথায়, এখন যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এটা ছাড়া আরও 7 টি ভ্যাকসিন দেশে তৈরি করার কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে । পরের মাস থেকে সরকার 50 বছরের বেশি বয়সের মানুষদের জন্য টিকাকরণের কাজ চালু করতে চলেছে । বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টিকা দেওয়ার জন্য 35 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন । সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের এক সচিব জানিয়েছেন, যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে 50 কোটি লোককে টিকা দেওয়া যেতে পারে । ভারত উদারতা দেখিয়ে 17 টি দেশে টিকার 55 লাখ ডোজ রপ্তানি করেছে । টিকা তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সৌভাগ্যের বিষয় ।

আরও পড়ুন : খুলছে স্কুল, বিস্তারিত গাইডলাইন দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর

যেহেতু একই সঙ্গে 138 কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সকলকে টিকা দেওয়া অসম্ভব, তাই কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে । টিকা দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে যাঁদের নেওয়ার কথা ছিল, তাঁরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় নির্মাতাদের কাছে টিকার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । ফলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে, যেখানে একটা অংশ টিকার খোঁজ শুরু করেছে, অন্যদিকে অন্য একটি অংশ টিকা নিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে । কেন্দ্রের টিকা তৈরি করার সম্পূর্ণ ক্ষমতার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া উচিত । বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও টিকা দেওয়ার কাজে অংশীদার করা উচিত । কোরোনার টিকা প্রতিটি নাগরিকের জন্য উপলব্ধ করা উচিত ।

আরও পড়ুন : মার্চেই তৃতীয় কোভিড টিকা পাবে দেশ! আশা জাগাচ্ছে স্পুটনিক ভি

সরকারি টিকা দেওয়ার কাজের প্রায় 85 শতাংশ 12 টি রাজ্যের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে রয়েছে । বাকি রাজ্যগুলির পিছিয়ে থাকার কারণও খতিয়ে দেখা উচিত । কালোবাজারে যাতে টিকা চলে না যায়, তা রুখতে কড়া নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে । জিপিএসের সাহায্যে টিকার পরিবহণের উপর নজরদারি চালাতে হবে । টিকা দেওয়ার কাজকে সফল করতে গেলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়কেই একযোগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে । কোরোনার টিকা নিতে মানুষ যে দ্বিধা বোধ করছে, তা সমূলে উৎপাটিত করতে প্রচারের বিষয়কে নিপুণ ভাবে তৈরি করতে হবে । প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তখনই জেতা যাবে, যখন বিপুল সংখ্যায় মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসবেন । আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষ এগিয়ে এলে, তাঁরা অন্যদেরও দ্বিধা দূরে সরিয়ে দিতে কার্যকরী হতে পারবেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.