তিরুবনন্তপুরম , 22 সেপ্টেম্বর : কেরালার সোনা চোরাচালানের মামলায় অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের NIA হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোচির বিশেষ NIA আদালত ৷ ডিজিটাল প্রমাণের ভিত্তিতে NIA এই মামলার পাঁচ অভিযুক্তের হেপাজতের জন্য আদালতে অনুরোধ জানিয়েছিল । অন্য চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে তিন দিনের জন্য NIA হেপাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷
রবিবার ভিয়ুর জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় , স্বপ্না সুরেশ বুকে ব্যথা নিয়ে দ্বিতীয়বার থ্রিসুর মেডিকেল কলেজে ভরতি হয়েছিল ৷ বুকে ব্যথার চিকিৎসার ছয় দিন পরে থ্রিসুর মেডিকেল কলেজ থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে স্বপ্না সুরেশকে NIA তেরো দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল । স্বপ্না শারীরিকভাবে ফিট থাকায়, হেপাজতে নেওয়ার অনুরোধটি আজই আদালতে অনুমোদিত হয়েছে ৷
এদিকে, কাস্টমস বিভাগের তদন্তে সোনা পাচারের মামলায় অভিযুক্ত সন্দীপ নায়েরের জামিন মঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (অর্থনৈতিক অপরাধ) আদালত ৷ 60 দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দাখিল না করায় জামিন মঞ্জুর করা হয় ।
কেরালায় সোনা পাচারের এই মামলার তদন্ত করছে NIA । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও কাস্টমসের আধিকারিকরাও তদন্ত চালাচ্ছেন । 5 জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল 30 কেজি সোনা ৷ সেই সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়াতে শুরু করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তরের ৷ 9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় (NIA) -র হাতে ৷ NIA এরপর 10 জুলাই FIR নথিভুক্ত করে ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷
তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালা সরকারের কোনও যোগ নেই বলে বার বার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷