ETV Bharat / bharat

এই উৎসবের মরশুমে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করুন - দুর্গাপুজোয় কোরোনা এর সতর্কতা

প্রাথমিকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, আক্রান্ত কেউ হাঁচলে বা কাশলে, যে বড় বড় জলকণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, তারই মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রামিত হয় । কিন্তু পরে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে ‘এরোসোল ট্রান্সমিশন’ও সম্ভব ।

Corona precaution
Corona precaution
author img

By

Published : Oct 7, 2020, 2:44 PM IST

Updated : Oct 7, 2020, 3:42 PM IST

পৃথিবী এখনও অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । এখনও পর্যন্ত এই প্যানডেমিকে গোটা পৃথিবীজুড়ে 10 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা 3.5 কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে । ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা 66 লাখ । ইতিমধ্যেই 1 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টরফে রাজ্য সরকারগুলোর কাছে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে । আসন্ন উৎসবের মরশুমে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সাধারণত ভারতে উৎসব আর বিশাল ভিড় এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষজনের মিলে মিশে থাকা সমার্থক। কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জেরে, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা ‘নতুন নর্মাল’ । এখন অন্তত আমাদের উৎসব—আনন্দকে পিছনে ফেলে রাখতেই হবে । ওনাম 2020—এ দেখা গিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেরলবাসীরা উৎসব পালন করতে স্বরাজে্য, নিজের বাড়িতে ফিরেছিল । দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই উৎসবের জন্যই সেখানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাতেও বাড়বাড়ন্ত হয়েছে । প্যানডেমিক প্রোটোকল অনুসরণে এই গাফিলতি মালপ্পুরম, ইদুক্কি, কোল্লাম এবং পথনমথিট্টায় বিপর্যয় ডেকে এনেছে । কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রাজ্যজুড়ে 31 অক্টোবর পর্যন্ত 144 ধারা জারি করতে হয়েছে ।

পশ্চিমবঙ্গ যা দুর্গাপুজো উৎসব এবং বিশাল ভিড়ভাট্টার জন্য বিখ্যাত, সেখানেও এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধে্যই নবরাত্রির সময় গরবা এবং ডান্ডিয়া উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং তেলাঙ্গানা সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লাগু করার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন । দশেরা এবং দীপাবলী উৎসবের সময় সাধারণ মানুষকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে এবং এ ব্যাপারে সমান দায়িত্ব দায়িত্বশীল হতে হবে ।

প্রাথমিকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, আক্রান্ত কেউ হাঁচলে বা কাশলে, যে বড় বড় জলকণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, তারই মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রামিত হয় । কিন্তু পরে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে ‘এরোসোল ট্রান্সমিশন’ও সম্ভব । ভারতে এই রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে্যই প্রথমবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল । পরে, দফায় দফায় যখন লকডাউন ওঠানো শুরু হয়, তখন সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসকে খুব সহজভাবে নিতে শুরু করে । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ব্যাপারে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । বেশ কিছু রাজ্য কড়া জরিমানা ধার্য করেছে তাদের জন্য, যারা মাস্ক না পরে বেরিয়ে অন্যদের বিপদে ফেলছে । প্যানডেমিক বর্তমানে ছোটো শহর এবং গ্রামগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । সংক্রামক রোগব্যাধি বর্ষার মরশুমে আরও বাড়বে । মানুষ যদি এই সময় উৎসবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনও সরকার তার জেরে হওয়া বিপজ্জনক ফলাফল এড়াতে পারবে না । আমাদের গণ স্বাস্থ্যব্যবস্থার বাজেটগত এবং কার্যকারী সীমাবদ্ধতাগুলিকেও বুঝতে হবে এবং সেইমতো পদক্ষেপ নিতে হবে । ওনামের সময় যা ঘটল, সেই আদর্শ অনুসরণ করার বদলে আমাদের আরও দায়িত্বপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং ভিড়ভাট্টা ও জমায়েত থেকে বিরত থাকতে হবে । যেহেতু প্রতিষেধক আসা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি এখনও আসেনি, তাই ব্যক্তিগতভাবে আগাম—সতর্ক থাকা একমাত্র প্রতিশ্রুতি ।

পৃথিবী এখনও অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে । এখনও পর্যন্ত এই প্যানডেমিকে গোটা পৃথিবীজুড়ে 10 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা 3.5 কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে । ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা 66 লাখ । ইতিমধ্যেই 1 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টরফে রাজ্য সরকারগুলোর কাছে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে । আসন্ন উৎসবের মরশুমে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সাধারণত ভারতে উৎসব আর বিশাল ভিড় এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষজনের মিলে মিশে থাকা সমার্থক। কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জেরে, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা ‘নতুন নর্মাল’ । এখন অন্তত আমাদের উৎসব—আনন্দকে পিছনে ফেলে রাখতেই হবে । ওনাম 2020—এ দেখা গিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেরলবাসীরা উৎসব পালন করতে স্বরাজে্য, নিজের বাড়িতে ফিরেছিল । দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই উৎসবের জন্যই সেখানে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাতেও বাড়বাড়ন্ত হয়েছে । প্যানডেমিক প্রোটোকল অনুসরণে এই গাফিলতি মালপ্পুরম, ইদুক্কি, কোল্লাম এবং পথনমথিট্টায় বিপর্যয় ডেকে এনেছে । কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রাজ্যজুড়ে 31 অক্টোবর পর্যন্ত 144 ধারা জারি করতে হয়েছে ।

পশ্চিমবঙ্গ যা দুর্গাপুজো উৎসব এবং বিশাল ভিড়ভাট্টার জন্য বিখ্যাত, সেখানেও এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধে্যই নবরাত্রির সময় গরবা এবং ডান্ডিয়া উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং তেলাঙ্গানা সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লাগু করার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন । দশেরা এবং দীপাবলী উৎসবের সময় সাধারণ মানুষকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে এবং এ ব্যাপারে সমান দায়িত্ব দায়িত্বশীল হতে হবে ।

প্রাথমিকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, আক্রান্ত কেউ হাঁচলে বা কাশলে, যে বড় বড় জলকণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, তারই মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রামিত হয় । কিন্তু পরে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে ‘এরোসোল ট্রান্সমিশন’ও সম্ভব । ভারতে এই রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে্যই প্রথমবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল । পরে, দফায় দফায় যখন লকডাউন ওঠানো শুরু হয়, তখন সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসকে খুব সহজভাবে নিতে শুরু করে । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ব্যাপারে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । বেশ কিছু রাজ্য কড়া জরিমানা ধার্য করেছে তাদের জন্য, যারা মাস্ক না পরে বেরিয়ে অন্যদের বিপদে ফেলছে । প্যানডেমিক বর্তমানে ছোটো শহর এবং গ্রামগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । সংক্রামক রোগব্যাধি বর্ষার মরশুমে আরও বাড়বে । মানুষ যদি এই সময় উৎসবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনও সরকার তার জেরে হওয়া বিপজ্জনক ফলাফল এড়াতে পারবে না । আমাদের গণ স্বাস্থ্যব্যবস্থার বাজেটগত এবং কার্যকারী সীমাবদ্ধতাগুলিকেও বুঝতে হবে এবং সেইমতো পদক্ষেপ নিতে হবে । ওনামের সময় যা ঘটল, সেই আদর্শ অনুসরণ করার বদলে আমাদের আরও দায়িত্বপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং ভিড়ভাট্টা ও জমায়েত থেকে বিরত থাকতে হবে । যেহেতু প্রতিষেধক আসা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি এখনও আসেনি, তাই ব্যক্তিগতভাবে আগাম—সতর্ক থাকা একমাত্র প্রতিশ্রুতি ।

Last Updated : Oct 7, 2020, 3:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.