সি ইগল ৷ মাঝারি ওজনের এই অ্যান্টিশিপ মিজ়াইল মুহূর্তে শত্রুপক্ষকে মাত দিতে পারে ৷ ধ্বংস করে দিতে পারে শত্রুপক্ষের বড় নৌকা বা জাহাজ ৷ 1985 সাল থেকে পরিষেবায় সদা তৎপর এই মিজ়াইল ৷ ভারতীয় নৌ সেনা ছাড়া রয়্যাল এয়ারফোর্স, রয়্যাল নেভিও এই মিজ়াইলের ব্যবহার করে ৷
সি ঈগল অ্যান্টিশিপ মিজ়াইলের নির্মাণ ইতিহাস
এর জন্মস্থান ব্রিটেন ৷ নির্মাণকারী সংস্থা BAE ডাইনামিক্স ৷ 1976 সালে এই অ্যান্টিশিপ মিজ়াইল তৈরি হয় ৷ তবে এর আকার-আকৃতিতে বহুবার পরিবর্তন এসেছে ৷ প্রথম মডেল P3T 1976-1979 সালের মধ্যে তৈরি হয় ৷ তখন এর দীর্ঘ চেহারা ৷ বড় ডানা অর্থাৎ উইংস ৷ 1981 সালে আবার আকারে পরিবর্তন আসে ৷ এবার মিজ়াইল বডির দুদিকে দুটি ফুয়েল বুস্টার সংযুক্ত করা হয় ৷ পরের বছর সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয় সি ঈগল ৷ এরপর 1999 সাল পর্যন্ত নানা ধরনের আপডেট চলে সি ঈগলের শরীরে ৷ BAE ডাইনামিক্সের পাশাপাশি মিজ়াইলের নির্মাণকার্যে হাত লাগায় MBDA (UK) লিমিটেড ৷
সি ঈগলের নকশা
- সি ঈগল সম্পূর্ণভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত ৷ লঞ্চিংয়ের পর এর নিজস্ব অনবোর্ড কম্পিউটার সিস্টেমে ইনস্টল করা প্রোগ্রামের মাধ্যমে এটি লক্ষ্যবস্তুকে নির্ণয় করে ও ধ্বংস করে দেয় ৷
- GPS-বেসড লোকেটিং এইড রয়েছে এই মিজ়াইলে ৷
- রয়েছে NavIC স্যাটেলাইট গাইডেন্স ।
- অনবোর্ড র্যাডার সেন্সরও বর্তমান ৷
- এর মধ্য় র্যাডার অল্টিমিটার রয়েছে, যা প্রয়োজনে স্বল্প উচ্চতাতেও উড়তে সাহায্য করে৷
- রয়েছে J-ব্যান্ড টার্গেট সিকার সিস্টেম ৷ যা 30 কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান নির্ণয় করতে পারে৷
সি ঈগলের ভিন্ন রূপ
সি ঈগল SL বা P5T ৷ এটি সাধারণত জলপথে আক্রমণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৷ রকেট বুস্টারের সাহায্যে নিমেষে শত্রুপক্ষের জাহাজকে ধ্বংস করে দেয় ৷ স্থলভাগে আক্রমণের জন্য রয়েছে সি ঈগল P4T ৷ নয়ের দশকে তৈরি হয় এটি ৷