হায়দরাবাদ, 26 মার্চ: সরকারের নির্দেশ জমায়েত করবেন না ৷ কিন্তু, বাস্তবে চিত্রটা ভিন্ন ৷ তেলাঙ্গানার বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন বিশেষত কুকাটপল্লি থানার সামনে দেখা গেল দীর্ঘ লাইন ৷ কুকাটপল্লির অধিকাংশ বাসিন্দাই অন্ধ্রপ্রদেশের ৷ 21 দিনের লকডাউনে তারা সকলেই বাড়ি ফিরতে চায় ৷
একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেল তেলাঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তেও ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ভিন রাজ্য থেকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় সীমান্তে দেখা যায় লম্বা গাড়ির লাইন ৷ তেলাঙ্গানা সরকারের তরফ থেকে সীমান্ত পার করার জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়ে পাশ দেওয়া হলেও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাদের কাছে পাস বা রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি সম্পর্কিত কোনও তথ্য নেই, তাই তারা ঢুকতে দিতে পারছেন না ৷
দুই রাজ্যের এই বিবাদকে সাময়িকভাবে মেটাতে আপাতত যারা সীমান্ত উপস্থিত হয়েছে বাড়ি ফেরার জন্য, তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফে ৷
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সহকারী মুখ্য সচিব পি ভি রমেশ বলেন, ‘‘যখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সকলকে বাড়ি থাকতে, তাহলে তেলাঙ্গানা সরকার কীভাবে রাজ্যবাসীকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে ? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করলেও এই পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্য থেকে প্রবেশ করতে দেওয়া বিপদ ৷ সকলের বাড়িতেই থাকা উচিত ৷’’
তেলাঙ্গানায় পড়াশোনার জন্য আগত অন্ধ্রপ্রদেশের বহু পড়ুয়াই হস্টেলে থাকে ৷ লকডাউনের কারণে হস্টেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, রান্নার লোক না পাওয়ায় খাবার জুটছে না তাদের বলে অভিযোগ করেছেন বাড়ি ফিরতে চাওয়া পড়ুয়ারা ৷ তবে তেলাঙ্গানার পৌর প্রশাসন মন্ত্রী কে টি রামা রাও বলেন, পড়ুয়াদের জন্য হস্টেল খোলাই রাখা হবে ৷
বুধবার তেলাঙ্গানায় আরও দুই কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল 41-এ ৷ কাল দুই আক্রান্তের মধ্যে এক তিন বছরের শিশুও রয়েছে ৷ দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে 606-এ ৷