শ্রীনগর, 9 ফেব্রুয়ারি : পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের রেকর্ড বলছে, সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ৷ ভোট বয়কটের ডাক থাকা সত্ত্বেও ভোটারদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করিয়েছেন তিনি ৷ এছাড়া আরও অনেকক্ষেত্রেই আমজনতাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর মধ্যে ৷ এমনই জানাচ্ছে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের রেকর্ড ৷
পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধেও রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ ৷ তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য ও জামাত-ই-ইসলামির মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিকে সমর্থন করার অভিযোগ ৷
কাশ্মীরের দুই প্রধান রাজনৈতিক মুখকে আটক করে রাখার ঘটনায় এবার নিজেদের পক্ষের যুক্তি দিল কেন্দ্র ৷ গতবছরের 5 অগাস্ট থেকে 6 মাসের বেশি আটক রয়েছেন তাঁরা ৷ সম্প্রতি পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের আওতায় অভিযুক্তও করা হয়েছে ওমর আবদুল্লাকে ৷
পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট হল এমন একটি কঠোর আইন যা তিন মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটকে রাখার অনুমতি দেয় ৷ এই আটক রাখার সময়সীমা আরও দীর্ঘ করা যায় ৷
আরও পড়ুন : জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে ফের গৃহবন্দী ওমর-মেহবুবা
শুধু ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিই নন, ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির আলি মহম্মদ সাগর এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সরতাজ মাধবীকেও জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে NC-র সাধারণ সম্পাদক সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কাশ্মীরে নির্বাচনে জনগণকে প্রভাবিত করার ৷
ওমর আবদুল্লাকে হরি নিবাসে এবং মেহবুবা মুফতিকে শ্রীনগরের একটি সরকারি অতিথি নিবাসে রাখা হয়েছে ৷ জননিরাপত্তা সুরক্ষা আইনের অধীনে ওমর আবদুল্লার বাবা ফারুখ আবদুল্লাকেও সেপ্টেম্বর মাসে গৃহবন্দী করা হয় ৷