দিল্লি, 16 জুন : "আনলক ওয়ানের দুসপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। চলবে 30 জুন পর্যন্ত। এরপরে কোরোনা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা জানতে, আমি আপনাদের কাছে থেকে বাস্তব পরিস্থিতি জানতে চাই।" আজ 21 রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্জাব, অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেরালার মুখ্যমন্ত্রীরও। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি বৈঠকে যোগ দেননি।
আজ কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, "বিগত কয়েক সপ্তাহে, হাজারেরও বেশি ভারতীয় বিদেশ থেকে ফিরেছেন এবং শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক তাঁদের রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্য প্রান্তের মতো ভারতে কোরোনার প্রভাব এখনও সেভাবে পড়েনি। দেশে কোরোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার হারও 50 শতাংশ। কোরোনায় একজন ভারতীয়র মৃত্যুও খুব দুর্ভাগ্যজনক। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেক কম।"
তিনি আরও বলেন, "মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনা একেবারেই কাম্য নয়। পাশাপাশি 'দুই গজ দূরত্ব' অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ববিধি, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির বাইরে বেরোলে এবং কোরোনাকে হারাতে গেলে দেশবাসীকে এইসব সতর্কতা মানতেই হবে। কোরোনার বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে একজোট হয়ে কাজ করছি তা ভবিষ্যতে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় উদাহরণ হয়ে উঠবে। যেভাবে বিগতে সপ্তাহগুলিতে আমরা কাজ করেছি তার ফলে অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা কোরোনাকে যত তাড়াতাড়ি আটকাতে পারব, তত তাড়াতাড়ি আমাদের অর্থনীতি চাঙা হবে। যত দ্রুত কোরোনাকে আমরা কাবু করতে পারব, তত দ্রুত আমাদের দপ্তর খুলবে, বাজার খুলবে, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রোজগার বাড়বে। "
আগামীকালও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন দেশে কোরোনা সংক্রমণে প্রথম 15 স্থানে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি। কোরোনা মোকাবিলায় আজ ও কালকের বৈঠক নিয়ে এপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ষষ্ঠ ও সপ্তম বৈঠক করবেন।