চেন্নাই, 30 জুলাই : রসগোল্লা কার ? দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর ওড়িশাকে হারিয়ে দু'বছর আগেই GI (জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেটর) ট্যাগ পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা । দেরিতে হলেও এবার সেই ট্যাগ পেল ওড়িশার "রসগোলা"-ও ।
2015 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রসগোল্লার পেটেন্ট দাবি করে ওড়িশা সরকার । GI ট্যাগ পেতে গতবছর ওড়িশার হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা । শেষ পর্যন্ত গতকাল GI ট্যাগ পেল ওড়িশার রসগোলা ।
GI ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়, ওড়িশার রসগোলা খুব নরম, রসালো । মুখে দেওয়া মাত্রই মিলিয়ে যায় । অন্য যেসব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি হয় সেগুলি আকারে গোল, সাদা ও স্পঞ্জ । তাই "ওড়িশার রসগোলা"-কে আলাদা করে GI তকমা দেওয়া হল ।
ওড়িশার তরফে যে রসগোল্লার পেটেন্ট চাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তর অমিল রয়েছে । ওড়িশা যাকে রসগোল্লা বলে দাবি করে, তার স্থানীয় নাম ক্ষীরমোহন । এটি মূলত সুজি, ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় । অন্যদিকে, বাংলার রসগোল্লার মূল উপাদান ছানা ও চিনির রস ।
প্রচলিত আছে, তুলসীদাসী রামায়ণের আগে 15 শতকে ওড়িয়া কবি বলরাম দাসের রচনায় রসগোল্লার উল্লেখ পাওয়া যায় । ওড়িশা সরকার আগেই দাবি করেছিল, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রসগোল্লা বিতরণের প্রথা প্রচলিত আছে । অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বক্তব্য ছিল, নবীনচন্দ্র দাসের হাতে জন্ম নেয় সাদা তুলতুলে মিষ্টি রসগোল্লা ।