দিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর : দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট, জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৷ কী এই ইলেকট্রনিক সিগারেট? যা গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে এত সাড়া ফেলেছে? এর ভিতরে থাকে তরল নিকোটিন যা ব্যাটারির মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ তৈরি হওয়া ধোঁয়া মস্তিষ্কে ধূমপানের মতই অনুভূতি তৈরি করে ৷ ফলে সেই 'আমেজ' রয়ে যায় ৷ যাঁরা ধূমপান ছেড়ে দিতে চান তাঁদের অনেকেই সাহায্য নেন ই-সিগারেটের ৷
গত কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বে ই-সিগারেটের প্রচলন বেড়েছে ৷ ভারতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট , বিশেষত যুব-সম্প্রদায়ের মধ্যে ৷ সাম্প্রতিক রিপোর্টে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ই-সিগারেটে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কথাও জানানো হয়েছিল । এই ক্ষতির দিক বিবেচনা করে পাঞ্জাব, কর্নাটক, মিজোরাম, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু-সহ মোট 12টি রাজ্যে ই-সিগারেট আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে । সেই সূত্র ধরেই গোটা দেশেই ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র ৷
আজ নির্মলা সীতারমন বলেন , "ই-সিগারেটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুবসমাজ৷ তাই ই-সিগারেট তৈরি , আমদানি, বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আনছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ বন্ধ করতে হবে ইলেকট্রনিক-সিগারেটের বিজ্ঞাপন এবং প্রচারও৷ " এই আইন না মানলে করলে অপরাধীর প্রথম ক্ষেত্রে এক বছরের হাজতবাস হবে ৷ এই অপরাধে ফের ধরা পড়লে অপরাধীর তিন বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে ৷
অধ্যাদেশের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ই-সিগারেট সঙ্গে রাখলেও 50,000 টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং 6 মাস অবধি জেল হতে পারে ৷ সীতারমন বলেন, ''এই দেশে ই-সিগারেটের 400টি ব্র্যান্ড প্রচলিত যার একটিও এই দেশে তৈরি হয় না ৷'' তিনি আরও জানান , ই-সিগারেট ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে প্রথমে ব্যবহার হলেও এখন এটিই যুব-সম্প্রদায়ের একটি নেশায় পরিণত হয়েছে ৷