ETV Bharat / bharat

ঠোঁটে প্লেট, অদ্ভুত রীতি এখানকার মহিলাদের

author img

By

Published : Jun 23, 2020, 9:01 AM IST

শোনা যায়, অতীতে আরবের ধনী ব্যক্তিরা এই এলাকার নানা গ্রামে এসে মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালাত । তাদের দাস হিসেবে কিনে নিয়ে যেত । এই দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতেই না কি ঠোঁট কেটে প্লেট পরার রীতি চালু হয় ।

মুরসি উপজাতি
মুরসি উপজাতি

লিপপ্লেট । প্রথমবার দেখলে চমকে যেতে হয় । মহিলাদের ঠোঁটে আস্ত একটা প্লেট ঝুলে থাকে । দেখে অস্বস্তি লাগলেও, প্লেট নিয়ে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করেন তাঁরা । ঠোঁটে প্লেট থাকা অবস্থাতেই সন্তানদের কোলে নিয়ে সংসারের কাজ করে চলেন ।

মুরসি উপজাতি । দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত অঞ্চলে ইথিওপিয়ার ওমো উপত্যকায় বসবাস করে এই উপজাতির মানুষজন । এখানকার মহিলারাই ঠোঁট কেটে সেখানে মাটির প্লেট ধারণ করেন । 15-16 বছর বয়সেই এদের ঠোঁট কেটে দেওয়া হয় । তারপর সেখানে একটি মাটির প্লেট বসিয়ে দেওয়া হয় । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্লেট বদলে ক্রমশ বড় প্লেট বসানো হয় । এতে ঠোঁটটি আরও প্রসারিত হয় । কিন্তু কেন এই অদ্ভুত রীতি ? এনিয়ে অবশ্য নানা মত রয়েছে । কেউ বলেন, বহুকাল ধরে একটা প্রথা চলে আসছে । সবাই সেটাই অনুসরণ করেন । নানা গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই অনুযায়ী ঠোঁটে এই প্লেট ধারণ মেয়েদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে । মাটির প্লেটটি যদি বড় হয়, ওই যুবতি বা কিশোরী ততই বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে । এই রীতি মেনে চলার মাধ্যমে তাদের সমাজে মেয়েদের সম্মানের চোখে দেখে সবাই ।

তবে এর পিছনে আরও একটি বিষয়কেও দায়ি করা হয় । বহু গবেষণা পত্রেও সেই তথ্য উঠে এসেছে । এদের মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের 1938 সালের সংখ্যায় সি অ্যান্ড এম থ রিপোর্ট । এতে বলা হয়, দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য না কি এই প্রথা শুরু হয়েছিল । একসময় আরবের ধনী ব্যক্তিরা এই এলাকার নানা গ্রামে এসে মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালাত । তাদের দাস হিসেবে কিনে নিয়ে যেত । এই দাসত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই ঠোঁট কেটে প্লেট বসানের প্রথা চালু হয় । যাতে মহিলাদের দেখতে খারাপ লাগে । তাদের আর কেউ পছন্দ না করে ।

ওমো উপত্যকার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও শিশুকন্যাদের ঠোঁট ফুটো করে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে । তাদের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফুটোর আয়তন বাড়তে থাকত এবং সেখানে একটি সুপ খাওয়ার আয়তনের সমান প্লেট বসানো হত । ব্রাজ়িলের কায়াপো উপজাতির বয়স্ক মানুষজনও প্রায় 6 সেমি লম্বা একটি পাত্রের আকারের জিনিস ধারণ করে ।

2007 সালের আদম সুমারি অনুযায়ী ওমো উপত্যকায় 7,500 জন মুরসি উপজাতির লোকজন রয়েছেন । পরের দিকে বহুজন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান । তবে এখনও এখানকার মানুষের মধ্যে এই অদ্ভুত প্রথা চালু রয়েছে ।

লিপপ্লেট । প্রথমবার দেখলে চমকে যেতে হয় । মহিলাদের ঠোঁটে আস্ত একটা প্লেট ঝুলে থাকে । দেখে অস্বস্তি লাগলেও, প্লেট নিয়ে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করেন তাঁরা । ঠোঁটে প্লেট থাকা অবস্থাতেই সন্তানদের কোলে নিয়ে সংসারের কাজ করে চলেন ।

মুরসি উপজাতি । দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত অঞ্চলে ইথিওপিয়ার ওমো উপত্যকায় বসবাস করে এই উপজাতির মানুষজন । এখানকার মহিলারাই ঠোঁট কেটে সেখানে মাটির প্লেট ধারণ করেন । 15-16 বছর বয়সেই এদের ঠোঁট কেটে দেওয়া হয় । তারপর সেখানে একটি মাটির প্লেট বসিয়ে দেওয়া হয় । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্লেট বদলে ক্রমশ বড় প্লেট বসানো হয় । এতে ঠোঁটটি আরও প্রসারিত হয় । কিন্তু কেন এই অদ্ভুত রীতি ? এনিয়ে অবশ্য নানা মত রয়েছে । কেউ বলেন, বহুকাল ধরে একটা প্রথা চলে আসছে । সবাই সেটাই অনুসরণ করেন । নানা গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই অনুযায়ী ঠোঁটে এই প্লেট ধারণ মেয়েদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে । মাটির প্লেটটি যদি বড় হয়, ওই যুবতি বা কিশোরী ততই বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে । এই রীতি মেনে চলার মাধ্যমে তাদের সমাজে মেয়েদের সম্মানের চোখে দেখে সবাই ।

তবে এর পিছনে আরও একটি বিষয়কেও দায়ি করা হয় । বহু গবেষণা পত্রেও সেই তথ্য উঠে এসেছে । এদের মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের 1938 সালের সংখ্যায় সি অ্যান্ড এম থ রিপোর্ট । এতে বলা হয়, দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য না কি এই প্রথা শুরু হয়েছিল । একসময় আরবের ধনী ব্যক্তিরা এই এলাকার নানা গ্রামে এসে মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালাত । তাদের দাস হিসেবে কিনে নিয়ে যেত । এই দাসত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই ঠোঁট কেটে প্লেট বসানের প্রথা চালু হয় । যাতে মহিলাদের দেখতে খারাপ লাগে । তাদের আর কেউ পছন্দ না করে ।

ওমো উপত্যকার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও শিশুকন্যাদের ঠোঁট ফুটো করে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে । তাদের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ফুটোর আয়তন বাড়তে থাকত এবং সেখানে একটি সুপ খাওয়ার আয়তনের সমান প্লেট বসানো হত । ব্রাজ়িলের কায়াপো উপজাতির বয়স্ক মানুষজনও প্রায় 6 সেমি লম্বা একটি পাত্রের আকারের জিনিস ধারণ করে ।

2007 সালের আদম সুমারি অনুযায়ী ওমো উপত্যকায় 7,500 জন মুরসি উপজাতির লোকজন রয়েছেন । পরের দিকে বহুজন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান । তবে এখনও এখানকার মানুষের মধ্যে এই অদ্ভুত প্রথা চালু রয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.