ETV Bharat / bharat

কোরোনা টিকায় ছাড়পত্র নিয়ে আজ বৈঠক - corona vaccine

সম্ভবত নতুন বছরেই দেশে আসতে চলেছে কোরোনা ভ্যাকসিন ৷ কোরোনা ভ্যাকসিনের আপৎকালীন প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আগেই আবেদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং ফাইজ়ার ৷ কোরোনা টিকায় অনুমোদন নিয়ে আজই বৈঠক রয়েছে ৷ 2 জানুয়ারি থেকেই দেশ জুড়ে কোরোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

corona vaccine
কোরোনা টিকায় ছাড়পত্র মিলতে পারে আজই
author img

By

Published : Jan 1, 2021, 11:43 AM IST

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : নতুন বছরের শুরুতেই কি আসতে চলেছে কোরোনা প্রতিষেধক? বর্ষশেষে প্রধানমন্ত্রী তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন ৷ কোরোনা ভ্যাকসিনের আপদকালীন প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আগেই আবেদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং ফাইজ়ার ৷ এই বিষয়ে আজই কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল সিদ্ধান্তে আসতে পারে ৷ তবে, বর্ষশেষে, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র এক শীর্ষ আধিকারিকও নতুন বছরে আশার ইঙ্গিত দিয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অব ইন্ডিয়া-র আধিকারিক ড. ভি জে সোমানি বলেন, "সম্ভবত নতুন বছরে আমাদের হাতে কিছু একটা থাকবে , আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি ৷"

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 2 জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে কোরোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু হবে ৷ ইতিমধ্যে 7.5 কোটি ডোজ় মজুত আছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই সূত্র জানিয়েছে ৷ সামনের সপ্তাহে আরও 10 কোটি ডোজ় আসছে বলেও খবর ৷ গতকাল গুজরাতের রাজকোটে এইমসের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে ৷ দেশের তৈরি কোরোনা টিকা পাবে মানুষ ৷" আজ সরকার অনুমদিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল সবুজ সঙ্কেত দিলেই সর্বশেষ অনুমোদনের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার কাছে ৷ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আর এই বিষয়ে প্রস্তুতিও প্রায় শেষলগ্নে ৷ জরুরি ভিত্তিতে তিনটি প্রতিষেধক ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছে ৷ এরমধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড-কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডেভলপ করেছে ৷ ফার্মা মেজরের অ্যাস্ট্রাজেনিকা এবং ভারত বায়োটেক যেটি 'কোভাক্সিন' এর জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চকে (আইসিএমআর) অংশীদার করেছে ৷

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরে ভি জে সোমানি-র "নতুন বছরে কিছু একটা হাতে থাকার" ইঙ্গিতে ভরসা জোগাচ্ছে দেশবাসীকে ৷ এই মূহূর্তে ভারত বিশ্বে কোরোনা সংক্রমণে অ্যামেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে ৷ আগামী ছয় থেকে আট মাসে 30 কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে টিকার ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনই বৃহত্তম আশার আলো দেখাচ্ছে ৷ যদিও ভারত সরকার এখনও সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেনি ৷ সংস্থাটি বলেছে যে তারা প্রথমে নিজের দেশের বাজারে এবং পরে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে রপ্তানি করবে। সেরামের সিইও এস পুনাওয়ালা বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এই সংস্থা ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা শটটির প্রায় 50 মিলিয়ন ডোজ় তৈরি করেছে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই ডোজ় 100 মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে ৷ এই সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ৷ ব্রিটেনে দ্বিতীয় কোরোন ভাইরাস ভ্যাকসিন হিসাবে ফাইজ়ার-বায়োএনটেক জ্যাবসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের শেষ ট্রায়াল চলছে ৷ মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ভারতে সেরাম ও বায়োটেক উভয়ই আশা করছে তাদের ভ্যাকসিন আজকের বৈঠকে ছাড়পত্র পাবে ৷ তবে বিট্রেনে ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়পত্র মেলায় তারা এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে আছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল ৷ এবং এই সংস্থা ইতিমধ্যে সাড়ে সাত কোটি ডোজ় তৈরি করে ফেলেছে ৷ অনুমতি মিললেই চলতি মাসের মধ্যেই 10 কোটি ডোজ় তৈরি করে ফেলবে বলে তারা জানিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : "দাওয়াইভি কড়াইভি", সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহেই টিকা করণ প্রক্রিয়া শুরু করতে ৷ জেশ জুড়ে গণ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও যথেষ্ট উৎসাহী ৷ তিনি এই টিকাকরণকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ অভিযান বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ এই টিকাকরণ নিয়ে কোনও গুজবে কান না দিতেও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : নতুন বছরের শুরুতেই কি আসতে চলেছে কোরোনা প্রতিষেধক? বর্ষশেষে প্রধানমন্ত্রী তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন ৷ কোরোনা ভ্যাকসিনের আপদকালীন প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আগেই আবেদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক এবং ফাইজ়ার ৷ এই বিষয়ে আজই কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল সিদ্ধান্তে আসতে পারে ৷ তবে, বর্ষশেষে, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র এক শীর্ষ আধিকারিকও নতুন বছরে আশার ইঙ্গিত দিয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অব ইন্ডিয়া-র আধিকারিক ড. ভি জে সোমানি বলেন, "সম্ভবত নতুন বছরে আমাদের হাতে কিছু একটা থাকবে , আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি ৷"

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 2 জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে কোরোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান শুরু হবে ৷ ইতিমধ্যে 7.5 কোটি ডোজ় মজুত আছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই সূত্র জানিয়েছে ৷ সামনের সপ্তাহে আরও 10 কোটি ডোজ় আসছে বলেও খবর ৷ গতকাল গুজরাতের রাজকোটে এইমসের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে ৷ দেশের তৈরি কোরোনা টিকা পাবে মানুষ ৷" আজ সরকার অনুমদিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল সবুজ সঙ্কেত দিলেই সর্বশেষ অনুমোদনের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার কাছে ৷ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আর এই বিষয়ে প্রস্তুতিও প্রায় শেষলগ্নে ৷ জরুরি ভিত্তিতে তিনটি প্রতিষেধক ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছে ৷ এরমধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড-কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডেভলপ করেছে ৷ ফার্মা মেজরের অ্যাস্ট্রাজেনিকা এবং ভারত বায়োটেক যেটি 'কোভাক্সিন' এর জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চকে (আইসিএমআর) অংশীদার করেছে ৷

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরে ভি জে সোমানি-র "নতুন বছরে কিছু একটা হাতে থাকার" ইঙ্গিতে ভরসা জোগাচ্ছে দেশবাসীকে ৷ এই মূহূর্তে ভারত বিশ্বে কোরোনা সংক্রমণে অ্যামেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে ৷ আগামী ছয় থেকে আট মাসে 30 কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে টিকার ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনই বৃহত্তম আশার আলো দেখাচ্ছে ৷ যদিও ভারত সরকার এখনও সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেনি ৷ সংস্থাটি বলেছে যে তারা প্রথমে নিজের দেশের বাজারে এবং পরে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে রপ্তানি করবে। সেরামের সিইও এস পুনাওয়ালা বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এই সংস্থা ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা শটটির প্রায় 50 মিলিয়ন ডোজ় তৈরি করেছে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই ডোজ় 100 মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে ৷ এই সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ৷ ব্রিটেনে দ্বিতীয় কোরোন ভাইরাস ভ্যাকসিন হিসাবে ফাইজ়ার-বায়োএনটেক জ্যাবসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের শেষ ট্রায়াল চলছে ৷ মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ভারতে সেরাম ও বায়োটেক উভয়ই আশা করছে তাদের ভ্যাকসিন আজকের বৈঠকে ছাড়পত্র পাবে ৷ তবে বিট্রেনে ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়পত্র মেলায় তারা এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে আছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল ৷ এবং এই সংস্থা ইতিমধ্যে সাড়ে সাত কোটি ডোজ় তৈরি করে ফেলেছে ৷ অনুমতি মিললেই চলতি মাসের মধ্যেই 10 কোটি ডোজ় তৈরি করে ফেলবে বলে তারা জানিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : "দাওয়াইভি কড়াইভি", সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহেই টিকা করণ প্রক্রিয়া শুরু করতে ৷ জেশ জুড়ে গণ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও যথেষ্ট উৎসাহী ৷ তিনি এই টিকাকরণকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ অভিযান বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ এই টিকাকরণ নিয়ে কোনও গুজবে কান না দিতেও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.