দিল্লি, 7 জুন : CAA আন্দোলন চলাকালীন দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগে NIA-র হেপাজতে থাকা কাশ্মীরি মহিলার শরীরে মিলল কোরোনার হদিস । ধৃত ওই মহিলার নাম হিনা বসির বেগ । তাঁকে দ্রুত দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভরতি করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
মার্চে CAA বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিনা, তাঁর স্বামী জাহানজ়ৈব শামি ও আবদুল বসিথ নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল । অভিযোগ ছিল, এই তিন জন দেশে IS-এর আদর্শ প্রচারের কাজ করছিল এবং CAA বিরোধী আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছিল । পাশাপাশি দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনাও করছিল তারা । এই তিন জনকে 23 মার্চ বিচারবিভাগীয় হেপাজতে নেওয়া হয় ।
পরে মামলাটি NIA-র হাতে তুলে দেওয়া হয় । তখন ওই ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেপাজত চেয়ে NIA-র তরফে দিল্লির বিশেষ আদালতে আবেদন করা হয় । 20 মে 10 দিনের জন্য তাদের হেপাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের NIA- র হাতে তুলে দিতে তিহার জেলকে নির্দেশ দেয় আদালত । তবে, তার আগে তাদের কোরোনা পরীক্ষা করাতে বলে আদালত । সেইমতো তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয় । তাতে তিন জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে । এরপর 29 মে ওই তিন জনকে হেপাজতে নেয় NIA ।
আজ তাদের 10 দিনের হেপাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা । তাই গতকাল ফের তিন জনের কোরোনা পরীক্ষা করানো হয় । এবার ফের ধৃত দুই ব্যক্তির রিপোর্টে কোরোনা নেগেটিভ আসে । কিন্তু ধৃত মহিলা হিনা রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া যায় ।
কোরোনা পজ়িটিভ আসার পরেই ধৃত মহিলার আইনজীবী এম এস খান আদালতে দু'মাসের জন্য তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানান । তিনি বলেন, "দিল্লিতে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে । পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসার উপযোগী ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে ।" অন্যদিকে অপর দুই ধৃতকে ফের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয় ।
NIA-র মতে, IS-এর খোরাসান প্রদেশের শাখার সঙ্গে এই তিন জনের যোগসূত্র রয়েছে । পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, ওই শাখারই প্রধান আবু উসমান আল কাশ্মীরির সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে ।