বেঙ্গালুরু, 22 জুলাই : যত সময় গড়াচ্ছে, তত চরমে উঠছে কর্নাটকের নাটক ৷ ইতিমধ্যে দু'বার বিধানসভা অধিবেশন হলেও আস্থাভোট হয়নি ৷ কিন্তু, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার)-র জোট সরকারের জন্য ৷ শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর আজ অধিবেশন বসবে ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর আস্থা ভোট আজ হতে পারে কন্নড়ভূমিতে ৷
কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার)-র জোট সরকারকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কর্নাটকে টালমাটাল চলছে । আস্থাভোটকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার তা চরমে পৌঁছায় । রাজ্যপাল বাজুভাই বালা চিঠি লিখে জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার । রাত 12টার মধ্যে আস্থাভোট পর্ব শেষ করার পরামর্শও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু, তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শুক্রবার বেলা 11টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় । পরে রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, কুমারস্বামীকে শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : আস্থা ভোটে বিধায়কদের জোর করা যাবে না , কর্নাটক নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
কিন্তু, সেদিনও রাজ্যপালের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আস্থাভোট হয়নি ৷ দুপুর 3 টে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় আবারও পিছিয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া ৷ এবার সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কুমারস্বামীকে চিঠি দেন রাজ্যপাল ৷ কিন্তু, তার আগেই মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন ৷ সেদিনই কংগ্রেসের পাশাপাশি কুমারস্বামী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ কুমারস্বামীর বক্তব্য, রাজ্যপাল কি বিধানসভার স্পিকারকে সময়সীমা বেঁধে দিতে পারেন? অন্যদিকে, কংগ্রেসের বক্তব্য, দলীয় বিধায়কদের উপর হুইপ জারির অধিকার কেন থাকবে না ? BJP-র অভিযোগ, শুধুমাত্র সময় কেনার জন্য টালবাহানা করছেন কুমারস্বামী ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : আগামীকাল দুপুরে প্রমাণ করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কুমারস্বামীকে চিঠি রাজ্যপালের
ইতিমধ্যে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দলে ফিরে এসে BJP-র স্বরূপ জনগণের সামনে প্রকাশের আর্জি জানান কুমারস্বামী ৷ পাশাপাশি, কুমারস্বামীকে সরিয়ে কংগ্রেসের কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর প্রস্তাবও দেয় জোট সরকার ৷ কিন্তু, তা খারিজ দেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ৷ তাঁরা জানান, সংকট না কাটা পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ফিরবেন না । তাঁদের অপহরণ করে রাখা হয়নি ৷ আর কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও তাঁরা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না ৷ যা জোট সরকারের ভবিষ্যতের কাছে বড়সড় ধাক্কা ৷ তবে, কুমারস্বামী সরকারের কাছে একটাই স্বস্তি খবর, বহুজন সমাজবাদী পার্টির একমাত্র বিধায়ক এন মহেশকে জোট সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মায়াবতী ৷ তবে, তাতেও কর্নাটকে বেকায়দাতেই থাকছে কুমারস্বামী সরকার ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কর্নাটকের ভাগ্য ঝুলেই রইল, আস্থা ভোট 22 জুলাই