ETV Bharat / bharat

ভাইরাস যদি একটি জৈব-অস্ত্র হয় ! - কোরোনাকে জৈব-অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা

অ্যামেরিকা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মনে করছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে ৷ তাদের আশঙ্কা, শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী থেকে ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী জৈবযুদ্ধের জন্য কোরোনাকে হাতিয়ার করেছে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 20, 2020, 3:33 PM IST

হায়দরাবাদ : সর্বশক্তিমান হওয়ার লক্ষ্যে চিন কোরোনা ভাইরাস তৈরি করেছে ৷ এমনই নানা কথা ঘুরছে বিভিন্ন মহলে ৷ উহানের গবেষণাগার থেকেই কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, যে তথ্য গোপন করছে চিন । এমন অভিযোগও তুলেছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গোয়েন্দারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন । তাঁদের দাবি, এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে ৷

এক্ষেত্রে অন্যদিকে আবার জল্পনা চলছে, প্যানডেমিক পরিস্থিতির মোকাবিলা না করতে পারায় নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে অ্যামেরিকা চিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে । সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে ৷ যাতে দেখা যাচ্ছে চিনের উহানের ওই বিতর্কিত গবেষণাগারে অ্যামেরিকার তরফে 3.7 মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল ৷

2002 থেকে 2003 সালে SARS ছড়িয়ে পড়েছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ৷ সেই সময় চিনের তরফে উহানে একটি ভাইরোলজি গবেষণাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ভবিষ্যতে এই ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ৷ ভাইরোলজি নিয়ে পড়াশোনার ফলে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ তৈরি করা যাবে ৷ এমনই আশা করেছিল চিন ৷ কিন্তু বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিশ্বের দেশগুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য চিন যে গবেষণাগারে কোরোনা ভাইরাস তৈরি করেছিল, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।

তবে, অ্যামেরিকা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মনে করছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে ৷ তাদের আশঙ্কা, শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী থেকে ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী জৈবযুদ্ধের জন্য কোরোনাকে হাতিয়ার করেছে । একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি আগেও এই ধরনের হামলা চালিয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে ৷ যদি এক মুহূর্তের মধ্যে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে যাবে ৷ সরকার অসহায় হয়ে পড়বে ৷ আর এই কথায় ভেবেই তারা একাজ করতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ।

এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের পরামর্শ, সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে সরকারকে অবশ্যই ত্রিস্তরীয় কৌশল নিতে হবে ৷ প্রথমত, সরকারকে সন্ত্রাসবাদী হামলা সংক্রান্ত যেকোনও ইমেল, SMS, ইন্টারনেট চ্যাটরুম, মেসেজ বোর্ড ও সোশাল মিডিয়ায় কথোপকথনের উপর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে ৷ এই কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালাতে হবে ৷ তারা যেখানে রয়েছে, খবর নিয়ে সেই জায়গাটিতেও নজর রাখতে হবে ৷ এই ধরনের সংক্রমণের প্রবণতাকে জৈব-সন্ত্রাস হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে ৷ দ্বিতীয় ধাপে, আন্তর্জাতিক সংক্রামকদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে ৷

প্রাথমিক স্তরে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে খুবই কার্যকরী হয় ৷ কিন্তু যখন এটা তৃতীয় স্তরে পৌঁছে যায়, তখন সংক্রমণের উৎস সন্ধান করা খুবই কঠিন ৷ জৈব-সন্ত্রাসবাদীদের কীভাবে ধরতে হবে, তার উত্তর রয়েছে মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যায় ৷ যদি কোনও এলাকায় নতুন ধরনের প্যাথোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে তা ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে ভারতে চিন ও ইট্যালির থেকেই কোরোনা ভাইরাস এসেছিল ৷ চিন, ইট্যালি ও ফ্রান্স থেকে যাওয়া মানুষজনের মাধ্যমেই অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কোরোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ে ৷ কোনও একটি বিশেষ অঞ্চলে ভাইরাসগুলি তুলনা করে দেখলে, তা থেকে বৈসাদৃশ্য খুঁজে বের করলে আধিকারিকরা নিশ্চিত হতে পারেন যে এই ভাইরাস ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হয়েছে কি না ৷ গোয়েন্দা বিভাগের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয়স্তরে বিদেশি ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন, পরীক্ষা, কোয়ারানটিন এবং আইসোলেশনের কৌশল নিতে হবে ৷

পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ভারতে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে ৷ সন্ত্রাসবাদীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে ৷ জওয়ানরা এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলছিলেন ৷ এই সুরক্ষা বিধি তাঁরা যাতে না মেনে চলতে পারেন, সে জন্যই সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ লকডাউনের নিয়ম সঠিকভাবে প্রয়োগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও লড়াই করছেন ৷ একই সঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সেনাবাহিনী সরকারকে সাহায্য করছে ৷ মানেসরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে মাত্র 48 ঘণ্টায় একটি কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হয় । বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের এয়ারলিফটের মাধ্যমে দেশে ফেরাচ্ছেন তাঁরা ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে 13 হাজারেরও বেশি চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ এবং নার্স রয়েছেন ৷ রয়েছেন 1 লাখ স্বাস্থ্য কর্মী ৷ একজন প্রাক্তন কমান্ডার পরামর্শ দিয়েছেন, সারা দেশে কোরোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর এক তৃতীয়াংশকে কাজে লাগানো যেতে পারে ৷ অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকরাও তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৷ ভারতে 130 টি সেনা হাসপাতাল রয়েছে ৷ যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ররা সাধারণ নাগরিকের বাড়ি, কারখানা ও ছাউনিকে কোরোনা কেয়ার সেন্টারে বদলে দিতে পারেন ৷ এভাবে তাঁরা 100 টি হাসপাতাল তৈরি করে ফেলতে পারবেন ৷ ভারত যদি তৃতীয় স্টেজে পৌঁছে যায়, তাহলে লকডাউন লাগু করতে সেনা মোতায়েন করতে হতেই পারে ৷

রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা কোরোনা আক্রান্তদের জৈব-অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৷ এই সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি যদি এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে ধরে রাখে, তাহলে গোটা বিশ্ব এক মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হবে ৷ COVID-19 বিভিন্ন দেশ এবং তার সঙ্গে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে ৷ দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে ৷ এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুয়েতেরেস ৷ গুয়েতেরেস জানিয়েছেন, যেহেতু প্রায় সব দেশেরই সরকার বর্তমানে কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত তাই এর সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি হামলা চালাতে পারে ৷ এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে ৷

হায়দরাবাদ : সর্বশক্তিমান হওয়ার লক্ষ্যে চিন কোরোনা ভাইরাস তৈরি করেছে ৷ এমনই নানা কথা ঘুরছে বিভিন্ন মহলে ৷ উহানের গবেষণাগার থেকেই কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, যে তথ্য গোপন করছে চিন । এমন অভিযোগও তুলেছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গোয়েন্দারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন । তাঁদের দাবি, এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে ৷

এক্ষেত্রে অন্যদিকে আবার জল্পনা চলছে, প্যানডেমিক পরিস্থিতির মোকাবিলা না করতে পারায় নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে অ্যামেরিকা চিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে । সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে ৷ যাতে দেখা যাচ্ছে চিনের উহানের ওই বিতর্কিত গবেষণাগারে অ্যামেরিকার তরফে 3.7 মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল ৷

2002 থেকে 2003 সালে SARS ছড়িয়ে পড়েছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ৷ সেই সময় চিনের তরফে উহানে একটি ভাইরোলজি গবেষণাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ভবিষ্যতে এই ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ৷ ভাইরোলজি নিয়ে পড়াশোনার ফলে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ তৈরি করা যাবে ৷ এমনই আশা করেছিল চিন ৷ কিন্তু বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিশ্বের দেশগুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য চিন যে গবেষণাগারে কোরোনা ভাইরাস তৈরি করেছিল, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।

তবে, অ্যামেরিকা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মনে করছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে ৷ তাদের আশঙ্কা, শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী থেকে ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী জৈবযুদ্ধের জন্য কোরোনাকে হাতিয়ার করেছে । একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি আগেও এই ধরনের হামলা চালিয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে ৷ যদি এক মুহূর্তের মধ্যে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে যাবে ৷ সরকার অসহায় হয়ে পড়বে ৷ আর এই কথায় ভেবেই তারা একাজ করতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ।

এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের পরামর্শ, সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে সরকারকে অবশ্যই ত্রিস্তরীয় কৌশল নিতে হবে ৷ প্রথমত, সরকারকে সন্ত্রাসবাদী হামলা সংক্রান্ত যেকোনও ইমেল, SMS, ইন্টারনেট চ্যাটরুম, মেসেজ বোর্ড ও সোশাল মিডিয়ায় কথোপকথনের উপর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে ৷ এই কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালাতে হবে ৷ তারা যেখানে রয়েছে, খবর নিয়ে সেই জায়গাটিতেও নজর রাখতে হবে ৷ এই ধরনের সংক্রমণের প্রবণতাকে জৈব-সন্ত্রাস হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে ৷ দ্বিতীয় ধাপে, আন্তর্জাতিক সংক্রামকদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে ৷

প্রাথমিক স্তরে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে খুবই কার্যকরী হয় ৷ কিন্তু যখন এটা তৃতীয় স্তরে পৌঁছে যায়, তখন সংক্রমণের উৎস সন্ধান করা খুবই কঠিন ৷ জৈব-সন্ত্রাসবাদীদের কীভাবে ধরতে হবে, তার উত্তর রয়েছে মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যায় ৷ যদি কোনও এলাকায় নতুন ধরনের প্যাথোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে তা ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে ভারতে চিন ও ইট্যালির থেকেই কোরোনা ভাইরাস এসেছিল ৷ চিন, ইট্যালি ও ফ্রান্স থেকে যাওয়া মানুষজনের মাধ্যমেই অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কোরোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ে ৷ কোনও একটি বিশেষ অঞ্চলে ভাইরাসগুলি তুলনা করে দেখলে, তা থেকে বৈসাদৃশ্য খুঁজে বের করলে আধিকারিকরা নিশ্চিত হতে পারেন যে এই ভাইরাস ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হয়েছে কি না ৷ গোয়েন্দা বিভাগের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, স্থানীয়স্তরে বিদেশি ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন, পরীক্ষা, কোয়ারানটিন এবং আইসোলেশনের কৌশল নিতে হবে ৷

পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ভারতে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে ৷ সন্ত্রাসবাদীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে ৷ জওয়ানরা এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলছিলেন ৷ এই সুরক্ষা বিধি তাঁরা যাতে না মেনে চলতে পারেন, সে জন্যই সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ লকডাউনের নিয়ম সঠিকভাবে প্রয়োগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও লড়াই করছেন ৷ একই সঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সেনাবাহিনী সরকারকে সাহায্য করছে ৷ মানেসরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে মাত্র 48 ঘণ্টায় একটি কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হয় । বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের এয়ারলিফটের মাধ্যমে দেশে ফেরাচ্ছেন তাঁরা ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে 13 হাজারেরও বেশি চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ এবং নার্স রয়েছেন ৷ রয়েছেন 1 লাখ স্বাস্থ্য কর্মী ৷ একজন প্রাক্তন কমান্ডার পরামর্শ দিয়েছেন, সারা দেশে কোরোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর এক তৃতীয়াংশকে কাজে লাগানো যেতে পারে ৷ অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকরাও তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৷ ভারতে 130 টি সেনা হাসপাতাল রয়েছে ৷ যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ররা সাধারণ নাগরিকের বাড়ি, কারখানা ও ছাউনিকে কোরোনা কেয়ার সেন্টারে বদলে দিতে পারেন ৷ এভাবে তাঁরা 100 টি হাসপাতাল তৈরি করে ফেলতে পারবেন ৷ ভারত যদি তৃতীয় স্টেজে পৌঁছে যায়, তাহলে লকডাউন লাগু করতে সেনা মোতায়েন করতে হতেই পারে ৷

রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা কোরোনা আক্রান্তদের জৈব-অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৷ এই সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি যদি এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে ধরে রাখে, তাহলে গোটা বিশ্ব এক মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হবে ৷ COVID-19 বিভিন্ন দেশ এবং তার সঙ্গে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে ৷ দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে ৷ এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুয়েতেরেস ৷ গুয়েতেরেস জানিয়েছেন, যেহেতু প্রায় সব দেশেরই সরকার বর্তমানে কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত তাই এর সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি হামলা চালাতে পারে ৷ এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.