রামপুর (উত্তরপ্রদেশ), 20 এপ্রিল : "এমনভাবে আচরণ করা হচ্ছে যেন আমি একজন দেশবিরোধী বা বিশ্বাসঘাতক । মনে হচ্ছে যেন আমি এই বিশ্বের সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদী । সরকারের হাতে যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আমাকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারত ।" গতকাল রামপুরের এক জনসভায় একথা বলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা আজ়ম খান ।
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন কমিশন আমার উপর তিনদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নির্বাচনের মধ্যে তাদের এই পদক্ষেপ বুঝিয়ে দেয় যে তারা কী করতে চাইছে। আমি কোথাও যেতে পারছি না, কারোর সঙ্গে দেখা করতে পারছি না, কোনও জনসভায় অংশ নিতে পারছি না।" আজ়ম খান বলেন, "রামপুর একটি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র ? যারা আমাকে সমর্থন করে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
জয়া প্রদাকে কটাক্ষ করে "খাকি অন্তর্বাস" মন্তব্যে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আজ়ম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই মন্তব্যের জন্য আজ়ম খানের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যাখ্যাও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্বাচন কমিশন তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
14 এপ্রিলের জনসভায় আজ়ম খান জয়া প্রদাকে কটাক্ষ করে বলেন, "মানুষটা 10 বছর ধরে রামপুরের লোকজনের রক্ত চুষেছে। আমি তাঁকে হাত ধরে রামপুরে এনেছিলাম। রামপুরের পথঘাটের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করাই। কাউকে স্পর্শ করতে দিইনি। কাউকে একটা কুমন্তব্য করতে দিইনি। আপনারা তাঁকে 10 বছরের জন্য প্রতিনিধি বানালেন। তাঁর আসল রূপ চিনতে আপনাদের 17 বছর লেগে গেল। আমি তো 17 দিনেই বুঝতে পেরেছি তাঁর অন্তর্বাস খাকি রঙের (খাকি রঙটি RSS-র সঙ্গে সম্পর্কিত)।" এরপরই আজ়ম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
এই বিষয়ে আজ়ম খান বলেন, "আমি জয়া প্রদা সম্পর্কে এইরকম কোনও মন্তব্য করিনি। কখনও জয়া প্রদার নাম নিইনি। যদি আমার অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। আমি কাউকে অপমান করিনি। আমি জানি আমার কী বলা উচিত। আমি রামপুর থেকে ন'বারের বিধায়ক এবং মন্ত্রীও ছিলাম। আমি জানি কী বলতে হয়।"