ETV Bharat / bharat

সংরক্ষণ না করলে 2022 সালের মধ্যে দেশ দেখবে জল-যুদ্ধ

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হচ্ছে এই শুকনো ভাব । 2017-18 সালে জল সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে 40 লাখ পরিবার জল পায়নি, এটা গোটা বিশ্বের কাছে একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে রয়েছে । জল সংকটের কারণে শহরের নাগরিকরা প্রতিদিন মাথাপিছু 50 লিটার জল ব্যবহার করে থাকেন, যা একজন মার্কিন নাগরিক শুধুমাত্র স্নান করতে ব্যবহার করেন । জামা-কাপড় না কেচে যাঁরা জল সংরক্ষণ করেন, তাঁদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল ।

author img

By

Published : Nov 12, 2019, 12:48 PM IST

পানীয় জলের কল

দিল্লি, 12 নভেম্বর : ভয়ঙ্কর জল সংকটের সামনে আমরা । পানীয় জলের ভান্ডার দুর্লভ হয়ে উঠছে বেশ কয়েকটি কারণের জন্য । আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করি তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার নেবে । এবছর গরমে তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে কী পরিমাণ জল কষ্ট হয়েছিল তা সকলেই জানেন । যদি সরকার জল সংরক্ষণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না করে, তা হলে 2022 সালের মধ্যে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে, জল-যুদ্ধ তৈরি হয়ে যাবে । জল সম্পদ মন্ত্রকের মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, "এই সমস্যার জন্য সরকার এবং সাধারণ মানুষ সমানভাবে দায়ি ।" তাঁর আরও দাবি, ভারতীয়রা সঠিক কথা বললেও সঠিক কাজ করেন না । শেখাওয়াতের অভিযোগ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুও শীঘ্রই কেপ টাউনে পরিণত হবে ।

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হচ্ছে এই শুকনো ভাব । 2017-18 সালে জল সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে 40 লাখ পরিবার জল পায়নি, এটা গোটা বিশ্বের কাছে একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে রয়েছে । জল সংকটের কারণে শহরের নাগরিকরা প্রতিদিন মাথাপিছু 50 লিটার জল ব্যবহার করে থাকেন, যা একজন মার্কিন নাগরিক শুধুমাত্র স্নান করতে ব্যবহার করেন । জামা-কাপড় না কেচে যাঁরা জল সংরক্ষণ করেন, তাঁদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল । জল খরচ কামানোর জন্য সরকার রেস্তরাঁ, দোকান, সুলভ শৌচালয়গুলিকে অনুরোধ জানিয়েছিল । মাসের শেষ দিনে পৌরসভা জল বণ্টন বন্ধ রাখার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল । জল অপচয় হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালাচ্ছিল জল-পুলিশ, জল অপচয় দেখতে পেলেই কঠোর জরিমানা করা হতো ।

ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় উষ্ণতা সাধারণের থেকে বেশ কিছুটা বেড়ে গেলে, সেই জলবায়ুকে এল নিনো বলে । এই এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ে এবং স্থলভাগে মেঘের সঞ্চার হয় । যার প্রভাব দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় । জলাধার কোনওদিনই জলের প্রয়োজন মেটাতে পারে না । একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেপ টাউনে জল সংকটের কথা । জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে জলের চাহিদা মেটানো অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না । জলবায়ু পরিবর্তনের এটা একটা অন্যতম ফল ।

দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার একটি বন্দর শহর কেপ টাউন । বিশ্বের অন্যতম বড় শহর এটি । এখানকার এক জেলে নেলসন ম্যান্ডেলা বন্দী ছিলেন । প্রতি বছর 20 লাখ পর্যটক এই শহরে ঘুরতে আসেন । পর্যটন এই শহরের আয়ের প্রধান উৎস, প্রায় 330 কোটি মার্কিন ডলার । পাঁচতারা হোটেল, সুন্দর সমুদ্র সৈকত, অসাধারণ বন্দর, দ্বীপের মধ্যে রিসর্টের পাশাপাশি সাইকেল রেস, ক্রিকেট, রাগবির মতো খেলা পর্যটকদের বিপুলভাবে আকর্ষণ করে । কিন্তু সমস্যা জল সংকট, সকল ঐশ্বর্যই সেখানে ব্যর্থ । জল সংকট পর্যটন শিল্পে থাবা বসিয়েছে, আঘাত এনেছে অর্থনীতিতেও । জল সংকটের জন্য উন্নয়ন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ।

কেপ টাউনের পরিস্থিতি গোটা দেশের কাছে একটি সতর্ক বার্তা । ব্রাজিলের সাও পাওলো জল সংরক্ষণের কিনারা করে ফেলেছে, বেঙ্গালুরু, বেজিং, কায়রো ও মস্কো এখনও তেমন কিছু ভালো করতে পারেনি । চেন্নাইয়ের জল সংকটের বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত । আজকের দিনেও বাসিন্দারা জলের ট্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল । স্বাধীনতার সময় মাথাপিছু জল পাওয়া যেত 5,000 কিউবিক মিটার, যা 2018 সালে কমে দাঁড়িয়েছে 1540-তে । উন্নয়নের নামে আমরা গাছ কাটছি, পুকুর বুজিয়ে দিচ্ছি । বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে বৃষ্টি । সঠিক সময় বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টির জল ফসল উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না । যার ভয়ঙ্কর পরিণতি ভূ-গর্ভস্থ জলস্তরের হ্রাস পাওয়া । কাকাটিয়া এবং ভাগীরত্রা প্রকল্প নিয়ে তেলঙ্গানা সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছে ।

পৃথিবীর 70 শতাংশ জলের মধ্যে মাত্র 3 শতাংশ স্বচ্ছ জল । বিশ্বের জনসংখ্যা 800 কোটি । কমপক্ষে এক কোটি মানুষ বাস করেন জলের পর্যাপ্ত জোগান ছাড়া । 270 কোটি মানুষ সংরক্ষিত জল ব্যবহার করে থাকেন । বিশ্বের 500টি শহর, যার মধ্যে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও আছে, যারা জল সংকটের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে । প্রতি বছরই বৃষ্টির পরিমাণ কমছে । স্বাভাবিক ভাবেই কৃষির উৎপাদন বাধা পাচ্ছে । নদী নর্দমায় পরিণত হচ্ছে । যার ফেলে শুকিয়ে যাচ্ছে লেক । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এর দায়িত্ব নিতে হবে । প্রতিটি নাগরিককে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে ।

দিল্লি, 12 নভেম্বর : ভয়ঙ্কর জল সংকটের সামনে আমরা । পানীয় জলের ভান্ডার দুর্লভ হয়ে উঠছে বেশ কয়েকটি কারণের জন্য । আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করি তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার নেবে । এবছর গরমে তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে কী পরিমাণ জল কষ্ট হয়েছিল তা সকলেই জানেন । যদি সরকার জল সংরক্ষণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না করে, তা হলে 2022 সালের মধ্যে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে, জল-যুদ্ধ তৈরি হয়ে যাবে । জল সম্পদ মন্ত্রকের মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, "এই সমস্যার জন্য সরকার এবং সাধারণ মানুষ সমানভাবে দায়ি ।" তাঁর আরও দাবি, ভারতীয়রা সঠিক কথা বললেও সঠিক কাজ করেন না । শেখাওয়াতের অভিযোগ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুও শীঘ্রই কেপ টাউনে পরিণত হবে ।

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হচ্ছে এই শুকনো ভাব । 2017-18 সালে জল সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে 40 লাখ পরিবার জল পায়নি, এটা গোটা বিশ্বের কাছে একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে রয়েছে । জল সংকটের কারণে শহরের নাগরিকরা প্রতিদিন মাথাপিছু 50 লিটার জল ব্যবহার করে থাকেন, যা একজন মার্কিন নাগরিক শুধুমাত্র স্নান করতে ব্যবহার করেন । জামা-কাপড় না কেচে যাঁরা জল সংরক্ষণ করেন, তাঁদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল । জল খরচ কামানোর জন্য সরকার রেস্তরাঁ, দোকান, সুলভ শৌচালয়গুলিকে অনুরোধ জানিয়েছিল । মাসের শেষ দিনে পৌরসভা জল বণ্টন বন্ধ রাখার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল । জল অপচয় হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালাচ্ছিল জল-পুলিশ, জল অপচয় দেখতে পেলেই কঠোর জরিমানা করা হতো ।

ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় উষ্ণতা সাধারণের থেকে বেশ কিছুটা বেড়ে গেলে, সেই জলবায়ুকে এল নিনো বলে । এই এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ে এবং স্থলভাগে মেঘের সঞ্চার হয় । যার প্রভাব দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় । জলাধার কোনওদিনই জলের প্রয়োজন মেটাতে পারে না । একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেপ টাউনে জল সংকটের কথা । জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে জলের চাহিদা মেটানো অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না । জলবায়ু পরিবর্তনের এটা একটা অন্যতম ফল ।

দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার একটি বন্দর শহর কেপ টাউন । বিশ্বের অন্যতম বড় শহর এটি । এখানকার এক জেলে নেলসন ম্যান্ডেলা বন্দী ছিলেন । প্রতি বছর 20 লাখ পর্যটক এই শহরে ঘুরতে আসেন । পর্যটন এই শহরের আয়ের প্রধান উৎস, প্রায় 330 কোটি মার্কিন ডলার । পাঁচতারা হোটেল, সুন্দর সমুদ্র সৈকত, অসাধারণ বন্দর, দ্বীপের মধ্যে রিসর্টের পাশাপাশি সাইকেল রেস, ক্রিকেট, রাগবির মতো খেলা পর্যটকদের বিপুলভাবে আকর্ষণ করে । কিন্তু সমস্যা জল সংকট, সকল ঐশ্বর্যই সেখানে ব্যর্থ । জল সংকট পর্যটন শিল্পে থাবা বসিয়েছে, আঘাত এনেছে অর্থনীতিতেও । জল সংকটের জন্য উন্নয়ন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ।

কেপ টাউনের পরিস্থিতি গোটা দেশের কাছে একটি সতর্ক বার্তা । ব্রাজিলের সাও পাওলো জল সংরক্ষণের কিনারা করে ফেলেছে, বেঙ্গালুরু, বেজিং, কায়রো ও মস্কো এখনও তেমন কিছু ভালো করতে পারেনি । চেন্নাইয়ের জল সংকটের বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত । আজকের দিনেও বাসিন্দারা জলের ট্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল । স্বাধীনতার সময় মাথাপিছু জল পাওয়া যেত 5,000 কিউবিক মিটার, যা 2018 সালে কমে দাঁড়িয়েছে 1540-তে । উন্নয়নের নামে আমরা গাছ কাটছি, পুকুর বুজিয়ে দিচ্ছি । বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে বৃষ্টি । সঠিক সময় বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টির জল ফসল উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না । যার ভয়ঙ্কর পরিণতি ভূ-গর্ভস্থ জলস্তরের হ্রাস পাওয়া । কাকাটিয়া এবং ভাগীরত্রা প্রকল্প নিয়ে তেলঙ্গানা সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছে ।

পৃথিবীর 70 শতাংশ জলের মধ্যে মাত্র 3 শতাংশ স্বচ্ছ জল । বিশ্বের জনসংখ্যা 800 কোটি । কমপক্ষে এক কোটি মানুষ বাস করেন জলের পর্যাপ্ত জোগান ছাড়া । 270 কোটি মানুষ সংরক্ষিত জল ব্যবহার করে থাকেন । বিশ্বের 500টি শহর, যার মধ্যে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও আছে, যারা জল সংকটের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে । প্রতি বছরই বৃষ্টির পরিমাণ কমছে । স্বাভাবিক ভাবেই কৃষির উৎপাদন বাধা পাচ্ছে । নদী নর্দমায় পরিণত হচ্ছে । যার ফেলে শুকিয়ে যাচ্ছে লেক । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এর দায়িত্ব নিতে হবে । প্রতিটি নাগরিককে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে ।

Siliguri (West Bengal), Nov 12 (ANI): Siliguri Customs Departments seized around USD 1,38,000 and Rs 26,000 from Kanchanjunga Express at Jalpaiguri Railway Station on Nov 11. Two persons were arrested in the operation. Further investigations are underway.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.