ETV Bharat / bharat

হরিদ্বারের গঙ্গাঘাটে ভিক্ষা করে দিন কাটছে কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্রীর

1999 সালে আলাদা পরিচিতি হয় হংসীর ৷ যখন তিনি কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন ৷ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ও পলিটিকাল সায়েন্সে ডাবল MA করার পর বিশ্ববিদ্যালয়েরই সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে প্রায় চার বছর চাকরিও করেন ৷

hansi prahari begging on streets of haridwar
hansi prahari begging on streets of haridwar
author img

By

Published : Oct 18, 2020, 10:53 PM IST

হরিদ্বার, 18 অক্টোবর: ইনি সেই মহিলা যিনি 2002 সালের লোকসভা ভোটে বর্তমান সাংসদ অজয় টামটাকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন ৷ নাম হংসী প্রহরী । একসময় কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতিও ছিলেন ৷ সময়ের মারে সেই মানুষটাই আজ সন্তানের হাত ধরে লোকের দ্বারে দ্বারে সাহায্য চেয়ে বেড়ান ৷ ভিক্ষা করে বেঁচে আছেন । থাকেন খোলা আকাশের নিচে গঙ্গার ঘাটে । রেল স্টেশনে কিংবা বাস ডিপোয় ৷

হংসী প্রহরী বলেন, "রেল স্টেশনে, বাস ডিপোতে ভয়ানক রাত কাটাচ্ছি ৷ খুব খারাপ পরিস্থিতিতে দিন কাটছে ৷"

গঙ্গাঘাটে ভিক্ষা করে দিন কাটছে হংসী প্রহরীর

আলমোরা জেলার সোমেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হাভালবাগ বিকাশখণ্ডের অন্তর্গত গোবিন্দপুরের কাছেই গোবিন্দপুর গ্রাম ৷ এই গ্রামে বড় হওয়া হংসী পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন সবচেয়ে বড় ৷ বাবা সামান্য আয় করতেন বটে তবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য দিনরাত এক করে দিতেন ৷ হংসী বাবার ইচ্ছা ও পরিশ্রমের সম্মান রাখেন ৷ গ্রামের স্কুলে পড়ার পর নিজের যোগ্যতায় কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন ৷ 1999 সালে আলাদা পরিচিতি হয় হংসীর ৷ যখন তিনি কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ও পলিটিকাল সায়েন্সে ডাবল MA করার পর বিশ্ববিদ্যালয়েরই সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে প্রায় চার বছর চাকরি করেন ৷ এর পরই হংসীর জীবনে একটি মোড় আসে ৷ যদিও হংসী নিজে কিছু বলতে চাননি ৷ তবে জানা যায়, বিবাহিত জীবনের জটিল অবস্থার জেরেই হংসীর আজ এই পরিস্থিতি ৷ যদিও তিনি চান না তাঁর সমস্যার জন্য তাঁর দুই ভাই ও পরিবারের অন্যদের উপর কোনওরকম চাপ তৈরি হয় ৷

hansi prahari begging on streets of haridwar
হংসী প্রহরীর কুমায়ু বিশ্ববিদ্যলয়ের শংসাপত্র ৷

হংসী প্রহরী বলেন, গত 4-5 বছর হল এভাবে পথে পথে জীবন কাটাচ্ছেন ৷ যে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে হংসীর সন্তানও ৷ তিনি বলেন, "আমি ওকে নিয়মিত পড়াই । স্কুলেও পাঠাই ৷ ভবিষ্যতে আমি ওকে প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে দেখতে চাই ৷"

সরকারের কাছে জীবনের মার খাওয়া মেধাবী ছাত্রী হংসী প্রহরীর একটাই আবেদন, তাঁর মাথার উপর একটা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ৷ এই বিষয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি ৷ বহুবার বিধানসভার সচিবালয়ে আবেদনও জানিয়েছেন ৷ তার প্রমাণও রয়েছে হংসীর কাছে ৷ যদিও আজ অবধি তাতে কাজ হয়নি ৷

হংসী বলেন, "সরকার যদি আমাকে সাহায্য করে তবে আমি ছোটোদের পড়াতে পারি ৷ আমি হয়তো আজ ভিক্ষা করে জীবনযাপন করি, কিন্তু আমি আমার সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে চাই ৷

হরিদ্বার, 18 অক্টোবর: ইনি সেই মহিলা যিনি 2002 সালের লোকসভা ভোটে বর্তমান সাংসদ অজয় টামটাকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন ৷ নাম হংসী প্রহরী । একসময় কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতিও ছিলেন ৷ সময়ের মারে সেই মানুষটাই আজ সন্তানের হাত ধরে লোকের দ্বারে দ্বারে সাহায্য চেয়ে বেড়ান ৷ ভিক্ষা করে বেঁচে আছেন । থাকেন খোলা আকাশের নিচে গঙ্গার ঘাটে । রেল স্টেশনে কিংবা বাস ডিপোয় ৷

হংসী প্রহরী বলেন, "রেল স্টেশনে, বাস ডিপোতে ভয়ানক রাত কাটাচ্ছি ৷ খুব খারাপ পরিস্থিতিতে দিন কাটছে ৷"

গঙ্গাঘাটে ভিক্ষা করে দিন কাটছে হংসী প্রহরীর

আলমোরা জেলার সোমেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হাভালবাগ বিকাশখণ্ডের অন্তর্গত গোবিন্দপুরের কাছেই গোবিন্দপুর গ্রাম ৷ এই গ্রামে বড় হওয়া হংসী পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন সবচেয়ে বড় ৷ বাবা সামান্য আয় করতেন বটে তবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য দিনরাত এক করে দিতেন ৷ হংসী বাবার ইচ্ছা ও পরিশ্রমের সম্মান রাখেন ৷ গ্রামের স্কুলে পড়ার পর নিজের যোগ্যতায় কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন ৷ 1999 সালে আলাদা পরিচিতি হয় হংসীর ৷ যখন তিনি কুমায়ু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ও পলিটিকাল সায়েন্সে ডাবল MA করার পর বিশ্ববিদ্যালয়েরই সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে প্রায় চার বছর চাকরি করেন ৷ এর পরই হংসীর জীবনে একটি মোড় আসে ৷ যদিও হংসী নিজে কিছু বলতে চাননি ৷ তবে জানা যায়, বিবাহিত জীবনের জটিল অবস্থার জেরেই হংসীর আজ এই পরিস্থিতি ৷ যদিও তিনি চান না তাঁর সমস্যার জন্য তাঁর দুই ভাই ও পরিবারের অন্যদের উপর কোনওরকম চাপ তৈরি হয় ৷

hansi prahari begging on streets of haridwar
হংসী প্রহরীর কুমায়ু বিশ্ববিদ্যলয়ের শংসাপত্র ৷

হংসী প্রহরী বলেন, গত 4-5 বছর হল এভাবে পথে পথে জীবন কাটাচ্ছেন ৷ যে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে হংসীর সন্তানও ৷ তিনি বলেন, "আমি ওকে নিয়মিত পড়াই । স্কুলেও পাঠাই ৷ ভবিষ্যতে আমি ওকে প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে দেখতে চাই ৷"

সরকারের কাছে জীবনের মার খাওয়া মেধাবী ছাত্রী হংসী প্রহরীর একটাই আবেদন, তাঁর মাথার উপর একটা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ৷ এই বিষয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি ৷ বহুবার বিধানসভার সচিবালয়ে আবেদনও জানিয়েছেন ৷ তার প্রমাণও রয়েছে হংসীর কাছে ৷ যদিও আজ অবধি তাতে কাজ হয়নি ৷

হংসী বলেন, "সরকার যদি আমাকে সাহায্য করে তবে আমি ছোটোদের পড়াতে পারি ৷ আমি হয়তো আজ ভিক্ষা করে জীবনযাপন করি, কিন্তু আমি আমার সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে চাই ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.