ETV Bharat / bharat

খুব সাবধানে অভ্যর্থনা জানাতে হবে নতুন CDS পদটিকে - নতুন CDS পদ

ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন পদ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) । এই পদটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, এর ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার এবং কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব । দিল্লি থেকে সি উদয় ভাস্করের প্রতিবেদন ।

Bipin Rawat
বিপিন রাওয়াত
author img

By

Published : Jan 1, 2020, 9:02 AM IST

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : ভারতীয় সেন‌াবাহিনীতে তৈরি হল চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) নামে নতুন একটি পদ । 24 ডিসেম্বর এই পদটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । CDS পদটির ক্ষমতা এবং সেনাবাহিনীর গঠনতন্ত্রে এর অবস্থান দেখে একে খুব সাবধানে অভ্যর্থনা জানাতেই হচ্ছে । এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব মোদী সরকারের প্রাপ্য হলেও ভুললে চলবে না, এই পদটি তৈরির কথা প্রথম ভাবা হয়েছিল 2001 সালে । এই পদটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, এর ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার এবং কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব ।

CDS তৈরির সময় ভাবনায় ছিল মূলত কয়েকটি বিষয় । প্রথমত, প্রয়োজন ছিল তিন বাহিনীর সমন্বয় এবং একটা একমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার । দ্বিতীয়ত, দেশের অসামরিক শীর্ষপদগুলিতে কখনও বাহিনীর পরামর্শের প্রয়োজন হলে তা দেওয়া । CDS-কে প্রথম থেকে ভাবা হয়েছিল এক জন সুপার চিফ হিসেবে, যিনি বর্তমান তিন বাহিনীর সব পদের শীর্ষে থাকবেন । অনেকে আবার এই পদের জন্য ফাইভ স্টার স্টেটাসের দাবিও করেছিলেন । অন্য গণতন্ত্রে এই পদের চরিত্র বিচার করে দেখা হয়েছিল এবং ভারতে এর প্রয়োজন ও উপযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল ।

তবে, সবশেষে এই পদটি যে রূপ নিল, তা একেবারেই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মোদী সরকারের ভারতীয় মডেলে তৈরি । CDS নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, "তিন বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে ইনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখ্য সেনা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন । তবে, আগের মতো তিন বাহিনীর প্রধান এখনও আলাদাভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে পারবেন । তিন বাহিনীর প্রধান তো বটেই, CDS কোনওরকম সামরিক নির্দেশই দিতে পারবেন না । এমনকী, নিজে থেকে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিরপেক্ষ পরামর্শও দিতে পারবেন না ।" অর্থাৎ CDS শুধুমাত্রই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা এবং কোনওভাবেই তিন বাহিনীর একমাত্রিক যোগাযোগের মাধ্যম থাকলেন না । এরপর, CDS-এর মাথায় থাকবে দু’টি টুপি । একটি হল চিফস অব স্টাফ কমিটি(COSC)-র স্থায়ী চেয়ারম্যান, এবং দ্বিতীয়টি, প্রতিরক্ষামন্ত্রকে ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স (DMA)-এর প্রধান এবং এর সচিব হিসেবে কাজ করা ।

CDS-এর বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা একেবারেই তিন বাহিনীর প্রধানের মতো হবে । তবে, প্রোটোকল অনুযায়ী তিনি তিন বাহিনীর থেকে উচ্চ পদে অবস্থান করবেন । CDS-এর প্রধান কাজ হিসেবে যেগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল, অভিযান, পরিবহণ, প্রশিক্ষণ, সহায়ক পরিষেবা, যোগাযোগ, মেরামতির বিষয়ে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, বাহিনীর যে কোনও প্রয়োজনের বিষয় জানা ও পদক্ষেপ গ্রহণ, তিন বাহিনীর সমন্বয় সাধন করে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানো সহ একাধিক ।

আপাত নিরীহ একটি সিদ্ধান্ত হলেও DMA তৈরি এবং তার মাথায় CDS-কে বসানো স্বাধীন ভারতে অসামরিক ও সামরিক বিভাগের সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত । CDS-এর মাথার সচিবের টুপিটিকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ও কাজ করতে দেওয়া হয় তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম বার শাসনব্যবস্থায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ ঘটবে । এতো দিন সরকারি শাসন ব্যবস্থায় বাহিনীর ভুমিকা বলতে ছিল নিরাপত্তা সচিব পদটি, যে ছিলেন মন্ত্রিসভার এক জন অসামরিক কর্মী । CDS পদটিকে শাসন ব্যবস্থায় কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং তাঁর মর্যাদা নিরাপত্তা সচিবের সমতুল হবে কি না এটাই এখন দেখার ।

তবে, তাঁর প্রধান তিনটি কর্তব্য পালন করাটা CDS-এর পক্ষে বেশ কঠিন । স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্তব্যের ব্যাপ্তিই বিশাল এবং যদি সঠিকভাবে দেখা যায়, এগুলি সেনাবাহিনীর পরিলেখ ও কার্যকারিতায় বদল আনতে পারে । সবার আগে মোদি সরকার যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছে তা হল তিন বাহিনীর সমন্বয় সাধন । 1999 সালের কার্গিল যুদ্ধের পর এই বিষয়টি নিয়ে বহু বার আলোচনা হয়েছিল । এই বিষয়টি সফল করতে হলে প্রয়োজন বেশ কয়েক বছরের অধ্যাবসায় এবং উচ্চ পেশাদারিত্ব ।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি CDS-এর কার্যকারিতাকে কড়া চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলবে তা হল অর্থ ও মানব সম্পদ । এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে DMA-তে সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের সঠিক মিশ্রণ এবং বাজেটে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যথেষ্ট অর্থের সংস্থান রাখা ।

বর্তমানে প্রতিরক্ষা খাতে যে বাজেট বরাদ্দ হয়, তা সামরিক সম্ভারের আধুনিকীকরণ এবং মহাকাশ ও সাইবার খাতে নতুন প্রযুক্তি আনতে সবসময় সক্ষম হয় না । CDS কি পারবেন বর্তমান বাজেট বরাদ্দ এবং 15 বছরের দীর্ঘমেয়াদি বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে?

উচ্চমানের পেশাদার হিসেবে কাজ করে এবং সরকারি "জো হুজুর" না থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো CDS-এর পক্ষে খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজ । তবে, আশার কথা এই যে, দীর্ঘদিনের এই প্রত্যাশা অবশেষে পূর্ণ করেছে মোদি সরকার । রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আমলাতন্ত্র এবং সেনাবাহিনী কীভাবে DMA এবং CDS-এর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে তার ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর ভবিষ্যতের কার্যক্ষমতা । প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্গে যা করতে পেরেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

দিল্লি, 1 জানুয়ারি : ভারতীয় সেন‌াবাহিনীতে তৈরি হল চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) নামে নতুন একটি পদ । 24 ডিসেম্বর এই পদটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । CDS পদটির ক্ষমতা এবং সেনাবাহিনীর গঠনতন্ত্রে এর অবস্থান দেখে একে খুব সাবধানে অভ্যর্থনা জানাতেই হচ্ছে । এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব মোদী সরকারের প্রাপ্য হলেও ভুললে চলবে না, এই পদটি তৈরির কথা প্রথম ভাবা হয়েছিল 2001 সালে । এই পদটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, এর ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার এবং কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব ।

CDS তৈরির সময় ভাবনায় ছিল মূলত কয়েকটি বিষয় । প্রথমত, প্রয়োজন ছিল তিন বাহিনীর সমন্বয় এবং একটা একমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার । দ্বিতীয়ত, দেশের অসামরিক শীর্ষপদগুলিতে কখনও বাহিনীর পরামর্শের প্রয়োজন হলে তা দেওয়া । CDS-কে প্রথম থেকে ভাবা হয়েছিল এক জন সুপার চিফ হিসেবে, যিনি বর্তমান তিন বাহিনীর সব পদের শীর্ষে থাকবেন । অনেকে আবার এই পদের জন্য ফাইভ স্টার স্টেটাসের দাবিও করেছিলেন । অন্য গণতন্ত্রে এই পদের চরিত্র বিচার করে দেখা হয়েছিল এবং ভারতে এর প্রয়োজন ও উপযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল ।

তবে, সবশেষে এই পদটি যে রূপ নিল, তা একেবারেই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মোদী সরকারের ভারতীয় মডেলে তৈরি । CDS নিয়োগের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, "তিন বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে ইনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখ্য সেনা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন । তবে, আগের মতো তিন বাহিনীর প্রধান এখনও আলাদাভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে পারবেন । তিন বাহিনীর প্রধান তো বটেই, CDS কোনওরকম সামরিক নির্দেশই দিতে পারবেন না । এমনকী, নিজে থেকে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিরপেক্ষ পরামর্শও দিতে পারবেন না ।" অর্থাৎ CDS শুধুমাত্রই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা এবং কোনওভাবেই তিন বাহিনীর একমাত্রিক যোগাযোগের মাধ্যম থাকলেন না । এরপর, CDS-এর মাথায় থাকবে দু’টি টুপি । একটি হল চিফস অব স্টাফ কমিটি(COSC)-র স্থায়ী চেয়ারম্যান, এবং দ্বিতীয়টি, প্রতিরক্ষামন্ত্রকে ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স (DMA)-এর প্রধান এবং এর সচিব হিসেবে কাজ করা ।

CDS-এর বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা একেবারেই তিন বাহিনীর প্রধানের মতো হবে । তবে, প্রোটোকল অনুযায়ী তিনি তিন বাহিনীর থেকে উচ্চ পদে অবস্থান করবেন । CDS-এর প্রধান কাজ হিসেবে যেগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল, অভিযান, পরিবহণ, প্রশিক্ষণ, সহায়ক পরিষেবা, যোগাযোগ, মেরামতির বিষয়ে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, বাহিনীর যে কোনও প্রয়োজনের বিষয় জানা ও পদক্ষেপ গ্রহণ, তিন বাহিনীর সমন্বয় সাধন করে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানো সহ একাধিক ।

আপাত নিরীহ একটি সিদ্ধান্ত হলেও DMA তৈরি এবং তার মাথায় CDS-কে বসানো স্বাধীন ভারতে অসামরিক ও সামরিক বিভাগের সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত । CDS-এর মাথার সচিবের টুপিটিকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ও কাজ করতে দেওয়া হয় তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম বার শাসনব্যবস্থায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ ঘটবে । এতো দিন সরকারি শাসন ব্যবস্থায় বাহিনীর ভুমিকা বলতে ছিল নিরাপত্তা সচিব পদটি, যে ছিলেন মন্ত্রিসভার এক জন অসামরিক কর্মী । CDS পদটিকে শাসন ব্যবস্থায় কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং তাঁর মর্যাদা নিরাপত্তা সচিবের সমতুল হবে কি না এটাই এখন দেখার ।

তবে, তাঁর প্রধান তিনটি কর্তব্য পালন করাটা CDS-এর পক্ষে বেশ কঠিন । স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্তব্যের ব্যাপ্তিই বিশাল এবং যদি সঠিকভাবে দেখা যায়, এগুলি সেনাবাহিনীর পরিলেখ ও কার্যকারিতায় বদল আনতে পারে । সবার আগে মোদি সরকার যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছে তা হল তিন বাহিনীর সমন্বয় সাধন । 1999 সালের কার্গিল যুদ্ধের পর এই বিষয়টি নিয়ে বহু বার আলোচনা হয়েছিল । এই বিষয়টি সফল করতে হলে প্রয়োজন বেশ কয়েক বছরের অধ্যাবসায় এবং উচ্চ পেশাদারিত্ব ।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি CDS-এর কার্যকারিতাকে কড়া চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলবে তা হল অর্থ ও মানব সম্পদ । এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে DMA-তে সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের সঠিক মিশ্রণ এবং বাজেটে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যথেষ্ট অর্থের সংস্থান রাখা ।

বর্তমানে প্রতিরক্ষা খাতে যে বাজেট বরাদ্দ হয়, তা সামরিক সম্ভারের আধুনিকীকরণ এবং মহাকাশ ও সাইবার খাতে নতুন প্রযুক্তি আনতে সবসময় সক্ষম হয় না । CDS কি পারবেন বর্তমান বাজেট বরাদ্দ এবং 15 বছরের দীর্ঘমেয়াদি বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে?

উচ্চমানের পেশাদার হিসেবে কাজ করে এবং সরকারি "জো হুজুর" না থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো CDS-এর পক্ষে খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজ । তবে, আশার কথা এই যে, দীর্ঘদিনের এই প্রত্যাশা অবশেষে পূর্ণ করেছে মোদি সরকার । রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আমলাতন্ত্র এবং সেনাবাহিনী কীভাবে DMA এবং CDS-এর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে তার ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর ভবিষ্যতের কার্যক্ষমতা । প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্গে যা করতে পেরেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

New Delhi, Jan 01 (ANI): A new tool lets you use your voice to get directions so you don't have to rely on existing voice assistants such as Siri or Google Assistant. Called 'My Car, My Voice', the new tool is built into Cerence - a voice software already powering vehicles from Toyota, GM, Audi, Chrysler, and BMW, Mashable notes. To customise, a person needs to speak a series of sentences into the Cerence app in your infotainment system. Once you create a voice clone, it can read any text out loud.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.