মিরাট , 8 সেপ্টেম্বর : চুল্লিতে দেহ ঢোকানো হয়ে গিয়েছিল ৷ আর কিছুক্ষণ পরেই সৎকারের প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷ তার আগে পরিবারের সদস্যরা একবার শেষ দেখা দেখতে চাইছিলেন ৷ কিন্তু মৃতদেহের মুখের ঢাকা সরাতেই চমকে ওঠে তারা ৷ সামনে রয়েছে অন্য একজনের দেহ ৷ উত্তরপ্রদেশের মিরাটের ঘটনা ৷
রবিবার কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মিরাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে 84 বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছিল ৷ গতকাল হাসপাতালে তরফে তাঁর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু দেহ সৎকারের সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারে যে দেহটি অন্য ব্যক্তির ৷ যাঁর বয়স 50-এর কোঠায় ৷ তখনই তার সৎকারের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় ৷ তারা বুঝতে পারে যে দেহ বদল হয়েছে ৷ জানা গেছে , এরপরই তারা অপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল ৷ তারা ততক্ষণে তারা দেহ সৎকার করে ফিরে এসেছিল ৷ তাঁরা জানতও না যে , তারা যাঁর সৎকার করেছে , সেটি অন্য কোনও রোগীর দেহ ৷ এরপরই 85 বছরের বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের দোষ স্বীকার করার পরিবর্তে কোরোনা রোগীর দেহটি খোলার জন্য তাদের তিরস্কার করে ৷
ওই বৃদ্ধার ভাইপো সাংবাদিকদের বলেন , "পরিবারের কয়েকজন তাঁকে শেষবার দেখতে চাইছিলেন ৷ তার জন্য আমরা মুখের ঢাকাটি সরিয়ে দিই ৷ কিন্তু দেখতে পাই যে এটা আমার কাকুর দেহ নয় ৷ অন্য কারও দেহ ৷ আমরা যখন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করি , তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দোষ মেনে নেওয়ার পরিবর্তে দেহটি খুলে ফেলার জন্য আমাদের উপর চিৎকার করতে শুরু করে । "
অন্যদিকে , মোদিনগরের পরিবারের সদস্যরাও অবাক ৷ 50 বছরের বৃদ্ধের ছেলে জানায় , রবিবার আমার কাছে একটি ফোন আসে ৷ আমাকে বলা হয় আমার বাবর দেহ এখনও সৎকার করা হয়নি ৷ কিন্তু আমরা ততক্ষণে অন্য কারও সৎকার কাজ সম্পন্ন করেছি ৷ পরে মিরাট পরিবার দেহ তুলে দেয় মোদিনগর পরিবারের হাতে ৷ আর তারা ছাই নিয়ে ফিরে আসে ৷
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিল ধিংরা ৷ তিনি বলেন , "অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শহর) এবং চিফ মেডিকেল অফিসারের একটি দল এই ঘটনার তদন্ত করবে ৷
ওই বেসরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ জ্ঞানেন্দ্র কুমার বলেন , "কর্তব্যরত চিকিৎসক , নার্স ও ওয়ার্ডবয়কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে ৷ দোষ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য , এর আগেও কোরোনা রোগীর দেহ অদল-বদলের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে ৷