দিল্লি, 18 জানুয়ারি : ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার নিয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডাকা গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না পশ্চিমবঙ্গ ৷ এর কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দোষ দিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ৷ তাঁর মতে, বৈঠকে অনুপস্থিত থাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "অপরিণত ও নির্বোধ রাজনীতি"-র একটা অংশ ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণাত্মক ও নির্বোধ বলেই কটাক্ষ করলেন বাবুল ৷ বললেন, "পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে কী ভাবেন, তা আমার জানা নেই ৷ মমতার সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভবই নয় ৷ কারণ, তিনি ভিষণ অ্যাগ্রেসিভ ও নির্বোধ ৷"
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ বলেন, "তাঁর জন্যই দেশে ট্রেন-বাস জ্বালানোর ঘটনাগুলো ঘটেছে ৷ কারণ, প্রথম তিনদিন তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি ৷ এগুলোকে গণআন্দোলন বলে চালিয়েছেন ৷ পরে যখন বুঝতে পেরেছেন, ক্ষতির পরিমাণ অনেক ৷ তখন বলতে শুরু করেছেন, আমি শান্তির আহ্বান করছি ৷ বদলার রাজনীতি নয়, তিনি অপরিণত ও নির্বোধের রাজনীতি করছেন ৷"
মুখ্যমন্ত্রীর পদের গুরুত্বই বোঝেন না মমতা, এমনই মনে করছেন তিনি ৷ বাবুলের অভিযোগ, "মুখ্যমন্ত্রীর পদের গুরুত্বই বোঝেন না ৷ আমার গাড়ি কতবার ভাঙা হয়েছে, আমি তো পালটা তাঁর গাড়ি ভাঙিনি ৷ কিন্তু, আমার জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তা-ই করতেন ৷"
গতকালের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অবাক হননি একটুও ৷ জানান, "যিনি নির্বোধের রাজনীতি করেন, তিনি যে দিল্লিতে বৈঠকের জন্য আসবেন না, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷ আগে থেকেই জানা ছিল ৷ তিনি নিজের মতো রাজনীতি করুক ৷ তবে, তাঁর মুখোশ খুলে গেছে ৷ জনগণের থেকে তিনি যে ক্ষমতা পেয়েছেন, তা জনগণই কেড়ে নেবে ৷"
ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (NPR) নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ৷ দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রস্তুতি ও পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে ৷ পশ্চিমবঙ্গ বাদে সব রাজ্যেরই মুখ্যসচিব ও জনগণনা অধিকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই ঘোষণা করেন, বাংলা NPR সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় বৈঠকে অংশ নেবে না ৷