রাঁচি, 28 এপ্রিল : তিনি গত তিন সপ্তাহ ধরে লালুপ্রসাদের চিকিৎসা করছেন । সেই চিকিৎসকেরই আর এক রোগীর শরীরে কোরোনার হদিস মিলেছে । আর তারপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব ।
রাঁচির রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের চিকিৎসক ডঃ উমেশ প্রসাদ । গত তিন সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালেই তিনি লালুপ্রসাদ যাদবের চিকিৎসা করছেন । গতকাল ওই হাসপাতালেই ভরতি উমেশ প্রসাদের আর এক রোগীর রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ এসেছে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক ও তাঁর টিমকে কোয়ারানটিনে পাঠানো হবে । লালুপ্রসাদ একই হাসপাতালে ভরতি হলেও তিনি আলাদা ওয়ার্ডে ছিলেন । আর ওই কোরোনা আক্রান্ত 3 সপ্তাহ ধরে মেডিসিন ওয়ার্ডে ছিলেন । হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে ।
বেশ কিছুদিন আগে সাত বছরের কম সময়ের সাজাপ্রাপ্তদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট । কিন্তু লালুপ্রসাদের সাজা সাত বছরের বেশি হওয়ায় তিনি প্যারোলে মুক্তি পাননি । ফলে ইতিমধ্যে লালুপ্রসাদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন । পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার তরফে লালুপ্রসাদ যাদবকে প্যারোলে মুক্ত করার জন্য আইনি পরামর্শ চেয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরালকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে 83 জন কোরোনায় আক্রান্ত । যার মধ্যে 13 জন সুস্থ হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে দু'জনের ।