দিল্লি, 28 মার্চ : A-SAT-র সাফল্যের পর নানা নেপথ্যের কথা তুলে ধরলেন DRDO চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি। এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট একটি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে তিনি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অ্যান্টি স্যাটেলাইট (A-SAT) মিজ়াইল প্রোজেক্ট দু'বছর আগে শুরু হয়েছিল। গত ছ'মাসে এটি মিশন মোডে আসে।"
জি সতীশ রেড্ডি আরও বলেন, "যখন A-SAT মিজ়াইল প্রোগ্রাম মিশন মোড লেভেলে প্রবেশ করে সেইসময় প্রায় 100 জন বিজ্ঞানী নির্দিষ্ট তারিখে উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করতেন।"
মঙ্গলবার ১১ টা ১৬ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর থেকে A-SAT মিজ়াইল উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের তিন মিনিটের মধ্যে এটি প্রায় 300 কিলোমিটার দূরে লো আর্থ অরবিটে(LEO) লাইভ স্যাটেলাইটটিকে ধ্বংস করে।
300 কিলোমিটার উচ্চতা নির্ধারণের কারণ কী ছিল ?
জি সতীশ রেড্ডি বলেন, "দ্বায়িত্বশীল জাতি হিসেবে আমরা আগে নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে মহাকাশের সমস্ত সম্পদ নিরাপদ থাকে এবং ধ্বংসাবশেষের বর্জ্য পদার্থগুলি যতসম্ভব তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দেওয়া যায়।"
প্রধানমন্ত্রী "মিশন শক্তি"-র সাফল্যের কথা ঘোষণা করার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। এই তথ্যে সমগ্র বিশ্বকে উদ্দেশ্য করে জানানো হয় যে, ভারতের এই অভিযান শুধুমাত্র দেশের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে করা হয়েছে। এর পিছনে মহাকাশে লড়াই বা যুদ্ধ ঘোষণার কোনও অভিসন্ধি ছিল না।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। বলেন, "অ্যামেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এলিট স্পেসপাওয়ারেনাম লিখিয়েছে ভারত। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে মিশন শক্তির অভিযান। আমাদের বিজ্ঞানীরাA-SAT মিজ়াইলের সাহায্যে প্রায় 300 কিলোমিটার দূরে লো আর্থ অরবিটে(LEO) লাইভ স্যাটেলাইটটিকে ধ্বংস করেছে। এটি অত্যন্ত কঠিন অপারেশন ছিল।"