তিরুবনন্তপুরম, 6 জুন : প্রথমে যুবতিকে জোর করে খাওয়ানো হয় মদ । তারপর পাঁচ বছরের ছেলের সামনেই চলতে থাকে যৌন নির্যাতন । এই পুরো ঘটনাটাই যুবতির স্বামীর সম্মতিতে ও উপস্থিতিতে ঘটে । এমনকী, যুবতিকে মদ খাওয়ানো থেকে শুরু করে যৌন নির্যাতন সবকিছুতেই ভাগীদার ছিল সে । আর এই কাজে তাকে সঙ্গে দেয় বন্ধুরা । শুধু তাই নয়, এক বন্ধুর বাড়িতেই এই ঘটনাকে পরিণতি দেওয়া হয় । পরে কোনওরকমে ওই যুবতি পালিয়ে এক যুবকের সহায়তায় অভিযুক্তদের হাত থেকে রেহাই পায় । ওই যুবতি ও প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচ বছরের ছেলের বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে স্বামী-সহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আরও এক জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে ।
4 জুন ঘটনাটি ঘটে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে । ওই দিন প্রথমে দুই সন্তান ও ওই যুবতিকে সঙ্গে নিয়ে পুথুকুরিচির একটি সমুদ্র সৈকতে যায় তাঁর স্বামী । পরে সেখান থেকেই এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায় ওই যুবতি ও সন্তানদের । তারপর সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে মিলে যুবতিকে মদ খাওয়ান । তারপর চলতে থাকে যৌন নির্যাতন ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কেরালায় মহিলাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামী ও তার বন্ধুরা
কোনওরকমে তাদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে রাস্তায় চলে আসেন নির্যাতিতা । ততক্ষণে নির্যাতনের জেরে মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন স্থান করে নিয়েছে । স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতা ও অত্যাচারও আঘাত করেছে মান-সম্মানে । দিশেহারা হয়ে তাই কেঁদে যাচ্ছিলেন । নিজেকে বাঁচাতে যখন মরিয়া নির্যাতিতা তখনই রাস্তায় এক যুবককে দেখতে পান তিনি । কাঁদতে কাঁদতে তাঁর কাছে সাহায্যের আর্জি জানান । নির্যাতিতার সেই আর্জিতে সাড়া দেন ওই যুবক । নির্যাতিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে ।
তাঁর প্রতি হওয়া এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা । তখনই পুরো বিষয়টা সামনে আসে । নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী ও ছয় বন্ধুর বিরুদ্ধে অপরহরণ, নির্যাতন ও গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে । ইতিমধ্যে ওই নির্যাতিতার বড় ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । তাঁর পাঁচ বছরের এই ছেলে পুরো ঘটনাটা পুলিশকে জানিয়েছে । যেহেতু পুরো ঘটনাটি এই শিশুর সামনে পরিণতি পেয়েছে তাই POCSO আইনেও একটি মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ।