মুম্বই , 6 এপিল: মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের 26 জন নার্স এবং 3 জন ডাক্তারের সোয়াব রির্পোট পজিটিভ বেরল ৷ আজই বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (BMC) হাসপাতালটিকে সংক্রমণপ্রবল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করলেন ৷ ইতিমধ্যেই COVID-19 এর সংক্রমণে আক্রন্ত 26 জন নার্সকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ভিলে পারলের নার্স কোর্য়াটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তিনজন ডাক্তারের মধ্যে দুজনকে ভরতি করা হয়েছে সেভেন হিল হাসপাতালে এবং 1 জনকে ভরতি করা হয়েছে মাহিমের এস.এল রাহেজা হাসপাতালে ৷ যদিও 270 জনেরও বেশি হাসপাতালে কর্মরত কর্মীদের এবং কয়েকজন রোগীদের সোয়াব রির্পোট এখনও পর্যন্ত আসেনি ৷
হাসপাতাল সূত্রে খবর , হাসপাতালে ভরতি কোভিড-19 আক্রান্ত সব রোগীদের দ্বিতীয় সোয়াব টেস্টের রির্পোট না আসা পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ রাখা হবে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বিষয়টি সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জানাতে না চাইলেও, এটুকু জানালেন যে হাসপাতালের OPD পরিষেবা এই পরিস্থিতে বন্ধ রাখা হয়েছে ৷
হাসপাতালের ক্যান্টিনে কর্তব্যরত ইন্সপেক্টর সাবলারাম আগাওয়ান জানান , "রোগী এবং হাসপাতাল কর্মীদের খাবার সরবরাহের জন্য ক্যান্টিনটা খোলা রাখা হয়েছে ৷ আমার সঙ্গে আরও দুজন কনস্টেবেল আছে , আমরা ক্যান্টিনের অনুপ্রবেশের দিকে কড়া নজর রাখছি ৷ "
অতিরিক্ত পৌর কমিশনার , সুরেশ কাকানি দুঃখের সঙ্গে জানালেন যে , "স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত ব্যক্তিরাও কোরোনা সংক্রমিত ৷ এঁদের সবার উচিত ছিল সতর্কতা অবলম্বন করার ৷ নির্বাহী স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটি গঠন করতে ৷ যাদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকবে যে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমিত হল কী ভাবে তা দেখা ৷"
সংক্রমিত হাসপাতালের দেওয়া রির্পোট অনুযায়ী 30 জন কোরোনা রোগী রয়েছেন জি দক্ষিণ এবং ডি ওয়ার্ডে ৷ এই পরিসংখ্যান অন্যান্য পরিসংখ্যানের তুলনায় অনেক বেশি ৷
হাসপাতালের রোগ সংক্রমণের উৎস হিসাবে ধরা হচ্ছে 70 বছর বয়সি একজন হৃদরোগ আক্রান্ত বৃদ্ধকে ৷ প্রথমে, ওই বৃদ্ধের সেবারত দুজন নার্স সংক্রমিত হয় ৷ তারপর আসতে আসতে অনেক নার্সের মধ্যে রোগটি সংক্রমিত হতে থাকে ৷
এই দ্রুত সংক্রমণের কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ৷ হাসপাতাল ওই দুজন নার্সকে কোয়ারান্টাইন করতে দেরি কর ৷ এছাডা় আরও অভযোগ ওঠে যে , ওই দুজন নার্স সহকর্মীদের সঙ্গে একই ঘরে থেকেছিলেন ৷ ইউনাইটেড নার্সেস অ্যাসোসিয়েসন এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে বিবৃতি দিয়ে জানান যে , রির্পোট পজ়িটিভ না আসা পর্যন্ত কোনও নার্সদের ছুটি দেওয়া যায়নি ৷ UNA এবং জনস্বাস্থ্য অভিযানের দেওয়া একটি চিঠিতে দাবি করা হয় যে , হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড সম্পূর্ণ ভরতি ৷
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন ৷