অযোধ্যা (উত্তরপ্রদেশ), 14 এপ্রিল: উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সকে 51 হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা ৷ তাও আবার অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজু দাসের তরফে ৷ এমনটাই ঘোষণা করেছেন তিনি ৷ এটিএফ-এর গুলিতে বৃহস্পতিবার গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছোট ছেলে আসাদের মৃত্যু গিয়েছে ৷ আসাদ আইনজীবী উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ছিলেন ৷ তাঁর নেতৃত্বেই গত 24 ফেব্রুয়ারি উমেশ পালকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে দাবি পুলিশের ৷ গতকাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আসাদের আরেক সঙ্গী তথা আইনজীবী খুনে আরেক অভিযুক্ত গুলাম মহম্মদেরও মৃত্যু হয়েছে ৷
24 ফেব্রুয়ারি আইনজীবী উমেশ পালকে হত্যার পর থেকে আত্মগোপন করেছিলেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী ৷ যদিও, ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ আগে প্রয়াগরাজের জেলে বন্দি রয়েছেন ৷ সূত্র মারফত খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঝাঁসির বাবিনা এলাকায় অভিযান চালায় ৷ পুলিশ আসাদ এবং তাঁর সঙ্গীকে আত্মসমর্পণের কথা বলে ৷ কিন্তু, জবাবে তাঁরা পালটা গুলি চালাতে শুরু করে ৷ ফলে পুলিশও জবাব দেয় ৷ এই এনকাউন্টারে আসাদ এবং গুলামের মৃত্যু হয়েছে ৷
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাত এসটিএফ-এর প্রশংসা করেছেন ৷ উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, একাধিক গ্যাংস্টারের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ৷ আর তা না হলে তারা জেলবন্দি ৷ এবার সেই মৃতদের তালিকায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছোট ছেলের নামও জুড়ে গেল ৷ এসটিএফ-এর এই সাফল্যের প্রশংসা করেছেন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজু দাস ৷ তিনি এ নিয়ে একটি কঠোর বিবৃতিও দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: আইনের ছাত্র থেকে কুখ্যাত অপরাধী, 47 দিনে বদলে গিয়েছিল আসাদের জীবন
সেখানে উত্তরপ্রদেশের সকল গ্যাংস্টার এবং দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, "রাজ্যে যতদিন বিজেপি এবং বাবার (যোগী আদিত্যনাথ) সরকার থাকবে ৷ ততদিন নয় সব গ্যাংস্টার রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যাক ৷ আর তা না হলে নিজেরে চিন্তাধারা এবং আদর্শ বদলে ফেলুক ৷’’ এক ধাপ এগিয়ে রাজু দাস এও জানান, উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং এসটিএফ এর উচিত উমেশ পাল হত্যায় জড়িত সব গ্যাংস্টারকে এভাবেই এনকাউন্টারে মেরে ফেলা ৷ যদিও, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করা হয়নি ৷