রাঁচি, 31 মে: মুম্বইয়ের এক মডেলকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ তবে শুধু বিয়ে নয়, মডেলের অভিযোগ তাঁকে ধর্মান্তরণ করার জন্যও জোর করেছিল ওই ব্যক্তি ৷ রাঁচির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তনবীর আখতার খান, রাঁচির যশ মডেল নামক এক ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর। এই বিষয়ে মুম্বইয়ের থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ওই মডেল। অভিযোগকারী যিনি বর্তমানে মুম্বাইয়ে কর্মরত, আদতে সে বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
তরুণীর অভিযোগের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তবে অভিযুক্ত তরুণীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে তরুণী ওই মডেল জানান, আগে তিনি যশ মডেল ইনস্টিটিউটে মডেলিং করতেন। সেখানে প্রায় দেড় বছর কাজ সময় অভিযুক্তরা তাঁকে শুধু মানসিক হেনস্তাই করেনি বরং তাঁকে বিয়ে করার জন্য নিয়মিত চাপও দিয়েছিল।
তরুণীর দাবি, এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি ইনস্টিটিউট ছেড়ে সরাসরি ভাগলপুর চলে যান ৷ এরপর মডেলিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার গড়তে মুম্বই পৌঁছন। এরপর তিনি মুম্বইয়ে গিয়ে ভারসোভায় থাকতে শুরু করেন। কিন্তু তানভীর তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে বলেও দাবি করেন ওই মডেল। মডেলের আরও অভিযোগ, যে তনবীর তাঁকে হয়রানি করতে মুম্বইও পৌঁছে গিয়েছিলেন ৷ এবং তাঁকে তাঁর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিলেন। যদিও তরুণী অভিযুক্তের প্রস্তাব নাকচ করলে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন মডেল। বিষয়টি সবিস্তারে পুলিশের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান ওই মডেল।
আরও পড়ুন: নাম পালটানোর হিড়িক মহারাষ্ট্রে, আহমেদনগর হবে অহল্যানগর
মডেল আরও বলেন, তনবীরের পরিবারের চাপে তিনি তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্রমাগত তাঁকে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন ৷ মডেলের অভিযোগ, তাঁর কিছু ছবি এডিট করে তাঁর আত্মীয়দের কাছেও পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তরুণী জানান, তিনি এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই করছে না। অন্যদিকে অভিযুক্তের দাবি, মেয়েটি তাকে প্রতারণা করেছেন ৷ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ব্যবসার ক্ষতিও করেছেন।