নয়াদিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর: খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত ও কানাডার মধ্যে যে কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দুই দেশের সেনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না, বুধবার এমনটাই দাবি করেছেন ভারতীয় সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক ৷ তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির সেনা প্রধানদের যে সম্মেলন হওয়ার কথা, তাতে অংশ নেবে কানাডা ৷
আগামী 26 ও 27 সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের স্বার্থে একটি কৌশল গড়ে তোলা ৷ বিশেষত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে সেনার টহলদারি বাড়াচ্ছে চিন, সেই নিরিখে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ মঙ্গলবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টদের যুক্ত থাকার 'বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ' তাঁরা পেয়েছেন ৷ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই জোর ধাক্কা খেয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৷ কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগকে 'উদ্ভট' ও 'অযৌক্তিক' বলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ৷ দুই দেশই পরস্পরের একজন করে শীর্ষ কূটনৈতিক পদাধিকারীকে দেশ ছাড়তে বলেছে ৷
এই প্রসঙ্গে সেনা সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং) মেজর জেনারেল অভিনয় রাই বলেন, "এই বিষয়টি দু'দেশের সামরিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না ৷ কানাডার উপ সেনাপ্রধান-সহ সেদেশের সেনা কর্তারা এখানে আসছেন ৷" চিনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ থাকলেও দুই দেশের সেনার মধ্যে বৈঠক জারি আছে ৷
আরও পড়ুন: ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে বহিরাগত উস্কানি, পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত মার্কিন বিশেষজ্ঞের
এই ঘটনার প্রভাব ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সেনা সম্পর্কে পড়বে না বলেই তিনি আশাবাদী ৷ দিল্লিতে এই সেনা সম্মেলনে 15টি দেশের সেনা প্রধান ও 22টি দেশের সেনা কর্তারা যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ মার্কিন সেনা এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে রয়েছে ৷
(পিটিআই)