জম্মু (জম্মু ও কাশ্মীর), 25 মার্চ: জম্মু বিমানবন্দরে (Jammu Airport) অ্যান্টি হাইজ্যাক ড্রিল অনুশীলন করা হল শুক্রবার ৷ ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি (NSG)-র তরফে এই অ্যান্টি হাইজ্যাক ড্রিল করানো হয় ৷ পাশাপাশি জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে অ্যান্টি হাইজ্যাক কমিটিকেও সক্রিয় করা হয়েছে ৷ এই অনুশীলনে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF), এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI), জম্মু ও কাশ্মীর সরকার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সিআইএসএফ (CISF), আইওসি অংশগ্রহণ করে ৷ তাছাড়া বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকেই এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে ৷
প্রতিরক্ষা দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক (Defence PRO) লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ জানিয়েছেন, হাইজ্য়াকের ফলে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ সেই সব পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব, সবটাই অনুশীলন করানো হয় এনএসজির তরফে ৷ সেই তালিকায় হাইজ্যাকারদের সঙ্গে আলোচনা, তাদের আক্রমণ করে কবজা করার মতো বিষয়গুলিও ছিল ৷ প্রতিরক্ষা দফতরের ওই জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে এই ধরনের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলি কীভাবে নিজেদের মধ্যে সংযোগ বজায় রেখে চলবে, সেটা এই অনুশীলনের মাধ্যমে সবপক্ষকে শেখানো হয় ৷
শুক্রবার বিকেলে জম্মু বিমানবন্দরে একটি বিমান অবতরণ করেছিল ৷ সেই বিমানেই এই ড্রিল করানো হয় বলে জানা গিয়েছে৷ কয়েকঘণ্টা ধরে তা সফল হবে করা সম্ভব হয়েছে বলেও বায়ুসেনার তরফে জানা গিয়েছে ৷ তবে ওই বিমানে সাধারণ যাত্রীরা ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি ৷ আর যদি সেখানে সাধারণ যাত্রীরা থেকে থাকেন, তাহলে তাঁদের কী বিষয়টি আগে থেকে জানানো হয়েছিল, এই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি ৷
কারণ, এই ধরনের পরিস্থিতিতেই অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ৷ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না, হলে সেটা কীভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে সেটাও কীভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ তাছাড়া আরও একটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে হঠাৎ এই ধরনের একটি ড্রিল করানো হল কেন ? তাহলে, জম্মুতে বিমান অপহরণের মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন ? এই প্রশ্নের উত্তরও অধরা এখনও পর্যন্ত ৷
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের উদ্ধারকারী বিমান অপহরণ কাবুলে, নিয়ে যাওয়া হল ইরানে