চণ্ডীগড়, 10 এপ্রিল: পলাতক অমৃতপাল সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত পাপলপ্রীত সিংকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ সোমবার পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্জাবের সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে পাপলপ্রীতকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুলিশের দাবি, পাপলপ্রীতই অমৃতপালকে বরাবর উৎসাহ জুগিয়ে এসেছে দেশবিরোধী কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য ৷ তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগাযোগ রয়েছে ৷
গত 18 মার্চ থেকে অমৃতপাল সিং নিখোঁজ ৷ তাঁর হদিশ এখনও পায়নি পুলিশ ৷ এর মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তাঁকে দেখা গিয়েছে ৷ তিনি ছদ্মবেশে ঘুরছেন বলেও পুলিশ জানতে পারে ৷ ইতিমধ্যে ভিডিয়ো বার্তাও দিয়েছেন অমৃতপাল ৷ কিন্তু তাঁকে ধরা যাচ্ছে না কিছুতেই ৷ অমৃতপালের মতো গত 18 মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন পাপলপ্রীতও ৷ অবশেষে তাঁকে ধরতে পারল পুলিশ ৷
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এবার অমৃতপালের সন্ধান করা অনেক সহজ হবে ৷ কারণ, পাপলপ্রীতের সঙ্গে অমৃতপালের যোগাযোগ ছিল ৷ ফলে তাঁর থেকে জেনে নেওয়া যাবে যে অমৃতপাল এখন ঠিক কোথায় থাকতে পারেন ৷ ফলে তাঁকে ধরার জন্য সেই সব জায়গায় অভিযানের পরিকল্পনাও নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হবে ৷
প্রসঙ্গত, অমৃতপাল ও তাঁর সঙ্গীদের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে সম্প্রীতি লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে সমাজে বিদ্বেষমূলক বার্তার প্রচার, খুনের চেষ্টা, পুলিশের উপর আক্রমণ ও সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দেওয়া ৷ এছাড়াও তদন্তে নেমে তাঁর বিরুদ্ধে আরও অনেক অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ আগেই জানিয়েছিল ৷
পুলিশ আগেই জানিয়েছিল যে অমৃতপালের সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগ রয়েছে ৷ তিনি আইএসআই-এর মদতেই পঞ্জাবের যুব সমাজকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছিলেন ৷ তিনি নেশামুক্তি কেন্দ্র খুলেছিলেন ৷ সেখানে আসা যুবকদের মগজ ধোলাই বিচ্ছিন্নতাবাদের কাজে ব্যবহার করাই তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল ৷ এছাড়া তিনি শাস্তি পাওয়া সেনা জওয়ানদের নিজের দলে টানার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কয়েকজনকে নিয়েও ছিলেন ৷ তাঁরা মূলত যুবকদের অস্ত্রশিক্ষা দেওয়ার কাজ করতেন ৷ পুলিশের ধারণা, পাপলপ্রীতকে জেরা করলে এই বিষয়গুলিতে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে ৷
আরও পড়ুন: ভাটিন্ডায় খালিস্তানি স্লোগান ও পতাকার দেখা মিলল কলেজের দেওয়ালে